বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-পাকিস্তান-আমির-শোয়েব
আমিরকে শোয়েব আখতারের অনুরোধ
ঢাকা, ২২ আগস্ট ২০১৯ (বাসস) : ওয়ানডে ও টি-২০ ক্রিকেটে বেশি মনোযোগী হবার জন্য সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া পাকিস্তানের ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরকে পুনরায় লংগার ভার্সনে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শোয়েব আখতার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) উদ্যোগে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ শুরুর সময় আমিরের লাল বলের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্তে বিষ্মিত হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক গতি দানব শোয়েব আখতার। ২৭ বছর বয়সি এই ক্রিকেটারকে টেস্ট অবসরের সিদ্ধান্ত বাতিলের আহবান জানিয়েছেন এই সাবেক পেসার।
ইউটিউবে প্রেরিত এক ভিডিও বার্তায় শোয়েব বলেন, ‘আমিরের উচিত হবে অবসরের ঘোষণা প্রত্যাহার করে পাকিস্তানের হয়ে মাঠে নামা। কারণ দেশটির তার মত খেলোয়াড়ের প্রয়োজন। তাই আমার বিশ্বাস আপনি হচ্ছেন একমাত্র খেলোয়াড় যিনি দেশের হয়ে পারফর্মেন্স দেখিয়ে নিজেকে কিংবদন্তীর আসনে বসাতে পারেন। কাউন্টি ক্রিকেট খেলে কেউ স্মরণীয় হয়নি।’
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে এটিকে গ্রহণযোগ্য করে তোলা এবং পাকিস্তানকে ভাল করতে সহায়তার জন্য আমিরের মত সিনিয়র খেলোয়াড়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান শোয়েব আখতার।
এমন এক সময় রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসের এই মন্তব্য আসল, যখন আমির কাউন্টি ক্লাব এসেক্সের হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ প্রথম শ্রেনীর ম্যাচে ৬৪ রানে ৬ উইকেট দখল করেছেন। ম্যাচে কেন্টকে হারায় তার দল। শোয়েবের মতে নিজ দেশের জন্যও তার একই রকম পারফর্মেন্স করা উচিত।’ তাই আমিরের এমন সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে পাকিস্তানের এই সাবেক ক্রিকেটার বলেন, ‘এটি খারাপ একটি দৃষ্টান্তে পরিণত হবে। তিনি উদাহারণ টেনে বলেন, মোহাম্মদ আমিরের এই সিদ্বান্ত অনুসরণ করতে পারেন হাসান আলী, ওয়াহাব রিয়াজ ও জুনাঈদ খান। পাকিস্তান দলে কি ঘটছে আমি বুঝতে পারছি না।
গোটা বিশ্ব জুড়েই ক্রিকেট বোর্ডগুলো বড় চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথাই ধরুন। বিশ্ব সেরা হবার সব ধরনের উৎস তাদের আছে। কিন্তু খেলোয়াড় ও বোর্ডের মধ্যে চুক্তিগত জটিলতার কারণে সামনের সারির অনেক খেলোয়াড় দেশের প্রতিনিধিত্ব বাদ দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের দিকে ঝুঁকছে।
বর্তমান পদ্ধতির পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত কেউই এমন ঘটনা পাশ কাটাতে পারবে না। প্রতিটি ক্রিকেটারেরই অধিকার রয়েছে নিজের ইচ্ছা ও ক্যারিয়ার নিয়ে ভাবার। সুতরাং টেস্টে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব তাদের কাছে পর্যাপ্ত রোমঞ্চকর মনে হয় না। বিষয়টি সুরহা করতে হবে। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে টেস্টে বর্তমান দলগুলো তাদের সেরা মেধাবীদের হারাবে।’
বাসস/ওয়েবসাইট/এমএইচসি/২০০৫/মোজা/স্বব