ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক আরো সহনীয় পর্যায়ে আনার আহ্বান বাণিজ্যমন্ত্রীর

321

ঢাকা, ২২ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) ঃ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্রাজিলের ‘উচ্চ আমদানি শুল্কহার’ কমানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
ব্রাজিলের আমদানি শুল্ক বেশি হবার কারণে প্রত্যাশা অনুযায়ি বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরফলে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ব্যবধান বেড়েই চলেছে।
টিপু মুনশি বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে ব্রাজিলের বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সহনীয় পর্যায়ে আনা কিংবা শুন্য শুল্ক করার জন্য সেদেশের সরকারের প্রতি আহবান জানান।
মুনশি গত ২০ আগষ্ট দক্ষিণ আমেরিকার বাণিজ্যিক জোট ( ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়ের সমন্বয়ে গঠিত বাণিজ্যিক জোট) মার্কোসার-এ সফরের প্রথম পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনে ব্রাজিলের বৃহত্তম ব্যবসায়ী সংগঠন ‘সাও পাওলো চেম্বার অব কমার্সের’ নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠককালে এ আহবান জানান।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
ঢাকায় প্রাপ্ত পৃথক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,এর আগের দিন গত ১৯ আগস্ট ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বৈদেশিক বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সাথে একান্ত বৈঠকেও তিনি ব্রাজিলে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত বা সহনীয় শুল্কে আমদানির কথা উল্লেখ করেন। ওই বৈঠকে টিপু মুনশি জানান,বাংলাদেশ গত অর্থ বছরে (২০১৮-১৯) ব্রাজিলে ১৭৬ দশমিক ৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে সেদেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করেছে ১৫২০ দশমিক ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্য।
একই দিন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী,অর্থ উপমন্ত্রী, ব্রাজিল কটন এ্যাসোসিয়েশন, ন্যাশনাল ফেডারেশন অফ ইন্ডাষ্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথেও বৈঠক করেন।
এসব বৈঠকে টিপু মুনশি উল্লেখ করেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশর তৈরি পোশাক, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে ব্রাজিলে। কিন্তু আমদানি শুল্ক বেশি হবার কারনে প্রত্যাশা অনুযায়ী বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না।
ব্রাজিলের বাণিজ্যমন্ত্রীর সাথে বেঠককালে টিপু মুনশি বলেন,মার্কোসারের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) উপস্থাপন করা হবে।