বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে দেশে জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা করা : রাষ্ট্রপতি

130

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
রাষ্ট্রপতি- ২১ আগস্ট
ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে দেশে জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা করা : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২১ আগস্ট ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গীবাদ প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি ২১ আগস্ট উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘ঘাতকচক্রের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, শোকাবহ ২১ আগস্ট বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। ২০০৪ সালের এদিনে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এ কাপুরুষোচিত হামলায় শহিদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ
২৪ জন নেতাকর্মী।
তিনি শোকাবহ ঐ মর্মান্তিক ঘটনায় সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সাথে সাথে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, লাখো শহিদের আত্মত্যাগের ফসল মহান স্বাধীনতা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ পরবর্তী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে শাসকের বুলেটের আঘাতে। তাই এ দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথ কখনো মসৃণ ছিল না। অগণতান্ত্রিক ও অশুভশক্তি বারবার গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।
তিনি বলেন, এছাড়া ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বন্দি অবস্থায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তারা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অনেকে। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ববরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
আবদুল হামিদ বলেন, গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবেন, এ প্রত্যাশা করি।’
বাসস/তবি/এমআর/১৬৪০/-জেহক