স্বাধীনতা বিরোধীরা এখনো ঘড়যন্ত্র করছে : আইনমন্ত্রী

231

ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস এখনো দেশের বিরুদ্ধে নানা ঘড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের কিছু লিগ্যাসি আছে। এই লিগ্যাসি দিয়েই তারা এখন ঘড়যন্ত্র করছে।
আজ রোববার ঢাকায় নিবন্ধন অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক খান মো. আব্দুল মান্নান,লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নরেন দাস বঙ্গবন্ধুর জীবন আলেখ্য নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা এখন যে ঘড়যন্ত্র করছে তা বাংলাদেশকে আরো ৫০ বছর পিছিয়ে দেয়ার ঘড়যন্ত্র। এই ঘড়যন্ত্রের ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতেই হবে এবং সব ষড়যন্ত্র নির্মূল করতে হবে।
জাতির পিতাকে হত্যার কলঙ্ক আমরা কোন দিন ঘুচাতে পারবো না। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি। এখন আমরা যদি বাংলাদেশের সকল মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারি তাহলে বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমাদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করতে পারবো।
তিনি বলেন, আমাদের এখন প্রধানত দুটি কাজ । একটি হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির ঘড়যন্ত্র সম্পর্কে সজাগ থাকা ও তা প্রতিহত করা এবং অন্যটি হলো বাংলাদেশের সকল মানুষের মুখে হাসি ফুটানো। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমেই কেবল এটা সম্ভব ।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন স্বাধীনচেতা ও অত্যন্ত আত্মসম্মান জ্ঞান সম্পন্ন মানুষ ছিলেন। তিনি কারো সঙ্গে কখনো আপোষ করেননি। তিনি নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছিলেন, নিজের কষ্টের পথ বেছে নিয়েছিলেন এবং তিনি সেভাবেই জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে তাঁর কাঙ্খিত লক্ষ্যে টেনে নিয়েছিলেন। তিনি নিজের জন্য কিছুই করার চেষ্টা করেননি। যেটাই করেছেন সেটা বাংলার জনগণের জন্য করেছেন। এটাই তাঁর মাহত্ত্ব।
মন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে স্বাধীন হওয়ার চিন্তাভাবনা করতে শিখিয়েছেন। আমাদেরকে স্বাধীনতা, দেশ, পতাকা ও সংবিধান দিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয় একটা স্বাধীন রাষ্ট্র নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য যেসব আইন প্রয়োজন মাত্র সাড়ে তিন বছরে সেটা তিনি তৈরি করে দিয়ে গেছেন।
সভা শেষে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।