ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত শেরপুরের পর্যটন কেন্দ্রগুলো

444

শেরপুর, ১৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : ঈদুল আযহার ছুটিতে প্রকৃতিপ্রেমী দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শেরপুরের গারো পাহাড়ের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।
জেলার ঝিনাইগাতী, শ্রীবরদী ও নালিতাবাড়ীসহ ৩টি উপজেলার গারো পাহাড় এলাকায় রয়েছে বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র। এ কেন্দ্রগুলোতে পরিবার-পরিজন নিয়ে নৈসর্গিক দৃশ্য দেখতে ছুটে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
পর্যটকদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করে জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার গজনী অবকাশ পর্যটন কেন্দ্র, শ্রীবরদী উপজেলার রাজার পাহাড় ও নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা পর্যটন কেন্দ্র, পানিহাতা তাড়ানির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে প্রতিনিয়ত হাতছানি দিয়ে ডাকে পাহাড়, টিলা আর সমতল ভূমির সবুজের সমারোহ। এছাড়া শাল, গজারি, সেগুন বাগান, ছোট-বড়-মাঝারি টিলা, আর লতাপাতার বিন্যাস প্রকৃতিপ্রেমীদের দোলা দিয়ে যায়। সেখানকার পাহাড়ের পাশ ঘেঁষেই রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৩ সালে শেরপুর শহর থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে ঝিনাইগাতীর কাংশায় গজনীর পাহাড়ি বনাঞ্চলের ২৭০ বিঘা জমিতে অবকাশ পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়। অপার সম্ভাবনাময় এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে দেশ ও বিদেশের পর্যটকদের সামনে নতুন করে উপস্থাপন করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। পর্যটন কেন্দ্রটিতে বাঘ, হাতি, দোয়েল, ঈগল, ডাইনোসরসহ ২০টি রঙবেরঙের ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে।
গজনী পর্যটন কেন্দ্রে এবার যোগ হয়েছে চিড়িয়াখানা। সেখানে রয়েছে বিরল প্রজাতির মুরগী, বানর, মেছো বাঘ, হরিণ, সজারু, লজ্জাবতি বানর, বিপন্নপ্রায় গন্ধগোকুল, ঈগল, পেঁচা, টিয়া, তোতাসহ ১৮ প্রজাতির পাখি। এছাড়া রয়েছে লেক, বিস্তৃত ধান ক্ষেত, গারো জনগোষ্ঠির বসতি ও পাহাড়ি জনপদে জীবনযাত্রা দেখার সুযোগ। শেরপুর সম্পর্কে পর্যটকদের অবহিত করতে সেখানে ব্র্যান্ডিং কর্ণার খোলা হয়েছে।
সরেজমিনে এসব বিনোদনকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটকদের মধ্যে কেউবা মোবাইলে সেলফি তুলছেন, কেউবা নিজের ও প্রিয়জনের ছবি ক্যামেরাবন্দি করছেন।
ঝিনাইগাতীা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবেল মাহমুদ জানান, ঈদেরদিন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে গজনীসহ জেলার পর্যটনকেন্দ্র গুলো। দর্শণার্থীরা যাতে নির্বিঘেœ ঘোরাফেরা করতে পারেন সেলক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন।