বিজিএমইএ ও বেজার মধ্যে চুক্তি সই : ২০২১ সালে মাথাপিছু আয় হবে ৪ হাজার ডলার

719

ঢাকা, ২১ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় মাথা পিছু আয় চার হাজার মার্কিন ডলার হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন,মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে বর্তমানে আমদের মাথা পিছু আয় ১৬২০। ১০ বছর আগেও এটা ছিল তিনভাগের একভাগেরও কম।এসময়ের মধ্যে তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে।
বুধবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু হোটেলে মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ ৫০০ একর জমির বরাদ্দ নিয়ে সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিজিএমইএ সভাপতি ২৫ কোটি টাকার একটি চেক হস্তান্তর করেন। সমঝোতা স্বারকে নিজ নিজ সংস্থার পক্ষে সই করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজার) সদস্য এমদাদুল হক এবং বিজিএমইএ সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান।
বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বনিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ রফতানিকারক সমিতির (ইএবি) সভাপতি আব্দুস সালাম মূর্শেদী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে,সেই হিসেবে বিদুৎ বেশ ভালো গ্যাসও এ বছরের শেষ নাগাদ পরিপূর্ণতা আসবে। এনিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি ২০২১, ২০৩০ এবং ২০৪১ এ উন্নত দেশ। ২০৭১ এ স্বাধীনতার একশ বছরে কোথায় যাবো।
বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের দুঃসাহসিক উলে¬খ করে এসডিজি বিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক বলেন, গ্যাস-বিদুৎতের অভাব থাকার পরও গত বছর জিডিপির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। গত ১০ বছরে বর্তমান সরকারের জিডিপি বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। এক্ষেত্রে বেসরকারিখাত বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। তিনি বলেন, দেশের মোট জিডিপি আড়াইশ বিলিয়ন ডলার। এর অধিকাংশই বেসরকারিখাতের অবদান। ব্যবসায়ীরা যত সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসবে।দেশের অগ্রগতি ততই এগিয়ে যাবে। সরকার ব্যবসায়ী বান্ধব। আপনাদের এগিয়ে যেতে সরকার সব কিছুই করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে তৈরি পোশাক শিল্প স্থাপনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন তিনি বলেন, বিজিএমইএ যে কাজটি করতে যাচ্ছে,এটি আরো আগে করার হওয়ার প্রয়োজন ছিল। বাউশিয়াতে জমিও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু হিসাব-নিকাশ করে এটা করা হয়নি। তবে এটা ঢাকার আশ-পাশে হলে ভালো হতো। এটি নিয়েও আমাদের পরিকল্পনা আছে।