বাসস দেশ-২২ : ‘নানকার বিদ্রোহ দিবসে’র ৭০তম বার্ষিকী কাল

337

বাসস দেশ-২২
সিপিবি-নানকার বিদ্রোহ
‘নানকার বিদ্রোহ দিবসে’র ৭০তম বার্ষিকী কাল
ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের ৭০তম বার্ষিকী কাল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
নানকার প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন, তেভাগা, টঙ্ক ইত্যাদি আন্দোলন এই দেশের কৃষকদের সংগ্রামী ঐতিহ্যের নিদর্শন। মুক্তিসংগ্রামের ক্ষেত্র প্রস্তুতিতেও কৃষক আন্দোলন রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
ব্রিটিশ আমলে নান অর্থাৎ রুটি দিয়ে কেনা গোলামকে নানকার বলা হতো। নানকার প্রথায় জমিদাররা কৃষকদের গোলাম করে রেখেছিল। এই প্রথার বিরুদ্ধে সিলেট অঞ্চলে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কৃষকরা প্রবল আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ১৯৪৯ সালের ১৮ আগস্ট পুলিশ, ইপিআর আর জমিদারদের পেটোয়া বাহিনী বিয়ানীবাজারের শানেশ্বর ও উলুউরি গ্রামের মধ্যবর্তী সুনাই নদীর তীরে আন্দোলনরত কৃষকদের ওপর গুলিবর্ষণ করে।
গুলিতে শহীদ হন ব্রজনাথ দাস চটই, প্রসন্ন কুমার দাস, পবিত্র কুমার দাস, কটুমণি দাস। অমূল্য কুমার দাস গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার হন এবং বন্দী অবস্থায় দুদিন পর জেলে মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে শানেশ্বর বাজারে পুলিশ ও জমিদারবাহিনীর হাতে প্রাণ হারান রজনী দাস।
নানকার আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে প্রতি বছর ১৮ আগস্ট ‘নানকার বিদ্রোহ দিবস’ পালন করা হয়।
ঐতিহাসিক নানকার বিদ্রোহের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) আন্দোলনের শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম আজ এক বিবৃতিতে বলেন, নানকার, টঙ্ক, তেভাগাসহ সামন্ত সমাজের শোষণমূলক অন্যায় সব প্রথার বিরুদ্ধে কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কৃষকরা গর্জে উঠেছিলেন।
সিপিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, নানকার বিদ্রোহ এই অঞ্চলে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ এবং তাদের জমিদার প্রথার বিরুদ্ধে ধারবাহিক সংগ্রামের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এ অঞ্চলের মুক্তিসংগ্রাম এবং জমিদার প্রথা ও সামন্ত শোষণ বিরোধী আন্দোলন এক সূত্রে গাঁথা।
নানকার প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলন, তেভাগা, টঙ্ক ইত্যাদি আন্দোলন এই দেশের কৃষকদের সংগ্রামী ঐতিহ্যের নিদর্শন। মুক্তিসংগ্রামের ক্ষেত্র প্রস্তুতিতেও কৃষক আন্দোলন রেখেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
বাসস/সবি/কেসি/১৯৪৫/এসই