বাসস দেশ-২৪ : খুনিরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

537

বাসস দেশ-২৪
শোক দিবস-আলোচনা
খুনিরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, খুনিরা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান এবং সরকারের সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএ’র সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সালান ও মহাসচিব অধ্যাপক ডা.আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা বিরোধীরাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে খুনের নেপথ্য কারিগর হিসেবে ভুমিকা রেখেছে।এই খুনিরাই বঙ্গবন্ধু পরবর্তী রাজনীতিতে ভুমিকা রেখেছে এবং ক্ষমতায় এসেছে। এক সময় এই খুনিরা এক হয়ে জোট বেধে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আমাদের স্বাধীনতা ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছিলো।
তিনি বলেন, খুনিদেরই দোসর বিএনপি-জামাত জোট ইতিহাস থেকে এক বাংলাদেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতও পরিবর্তন করে ফেলতে চেয়েছিলো। কিন্তু তারা সেটা করতে পারেনি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সাড়ে আট ঘটিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, সকল পরিচালকবৃন্দ, লাইন ডাইরেক্টরবৃন্দ, সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন। অতঃপর স্বাস্থ্য সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বেলা ১০ ঘটিকায় ধানমন্ডিস্থ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের নিহতের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
অতঃপর যোহরের নামাজের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারবর্গের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাসস/সবি/এমএআর/২০৫৫/-জেজেড