বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ খুলেছে

412

ঢাকা. ১৩ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগ সাধারণ রোগীদের সুবিধার্থে আজ মঙ্গলবার খুলেছে। আগামীকালও বহির্বিভাগ খোলা থাকবে।
এদিকে গত ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালে নতুন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছেন ২২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন, বর্তমানে ভর্তি আছেন ১৪০ জন রোগি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া আজ বহির্বিভাগ-১ ও বহির্বিভাগ ২ এবং কেবিন ব্লকের নিচতলায় ডেঙ্গু সেলের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম সরেজমিনে পরির্শন করেছেন। এসময় তিনি রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসক, নার্স ও সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন
এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার একটু কমতির দিকে। এক্ষেত্রে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
উপাচার্য জানান, গত সোমবার সকাল ৮ হতে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা হলো ১৪০ জন। এর মধ্যে নতুন ভর্তি রোগী ২২ জন, পূর্বের ভর্তি রোগী ১১৮ জন।
তিনি বলেন, গত ২৭ আগস্ট থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু চিকিৎসা সেলে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৬৩৯ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৯৭ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন। মেডিসিন ওয়ার্ড, শিশু ওয়ার্ড, ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল, কেবিন, আইসিইউ ও এসডিইউতে এসকল রোগী ভর্তি আছেন। বর্তমানে আইসিইউতে ১ জন এবং এইচডিইউতে ৬ জন রোগী ভর্তি আছেন।
এছাড়াও চলতি বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বহির্বিভাগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৫৩০০ জন রোগী সেবা নিয়েছেন বলে জানান উপাচার্য।
কনক কান্তি বড়য়া এসময় আরো বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার একটু কমতির দিকে। পূর্বের তুলনায় রাগীর ভর্তির সংখ্যা একটু কমেছে। ডেঙ্গুজ্বরের বিষয়ে গণমানুষের সচেতনতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য গণমাধ্যগুলো বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। আর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসক, নার্স ও সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মীবৃন্দ প্রশংসনীয় মহতী ভূমিকা রেখেছেন এবং তা অব্যাহত আছে ও থাকবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেঙ্গুরোগীদের চিকিৎসা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসার বিষয়ে কোনো সমস্যা হচ্ছে না