কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি

612

ঢাকা, ১১ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : নগরবাসী যাতে উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বিঘ্নে পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে পারে সে লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ইতোমধ্যে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
আজ এক তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, এ বছর উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১০টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৪টি পশুর হাট বসেছে। উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬৭৩ টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬০২ টি স্থান পশু কোরবানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে রাস্তার ওপর বা ড্রেনের পাশে পশু জবেহ না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
জনসচেতনতা তৈরির জন্য দুই সিটি করপোরেশন মোট ৬ লাখ ৮০ হাজার লিফলেট বিতরণ ছাড়াও রেডিও, টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছে।
প্রতিটি ওয়ার্ডে মাইকিং, মসজিদের ইমাম সাহেবদের মাধ্যমে নামাজের পরে ও জুমা নামাজের খুতবার সময় কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ বিষয়ে মুসুল্লিদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
পশু হতে উৎপন্ন বর্জ্য অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ কাজে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নিজস্ব ও স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৪ হাজার ৯৩৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত করেছে।
এছাড়া বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য পিডব্লিউসিএসপি’র প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক নিয়োজিত থাকবে। অপরদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিজস্ব ৫ হাজার ২৪১ জন ছাড়াও ৪ হাজার ২৫২ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে। বাসাবাড়ি থেকে ৬০০ টি ভ্যানের সাহায্যে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে। দুই সিটি করপোরেশন বর্জ্য অপসারণের জন্য মোট ৭ লাখ ৫৫ হাজার ব্যাগ সরবরাহ করবে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পরিমান স্যাভলন, ফিনাইল ও অন্যান্য সামগ্রী।
ঈদের দিন হতে জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটসমূহ দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশন নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং হতে অতিরিক্ত গাড়ি ব্যবহার করবে।
যত্রতত্র চামড়া কেনা-বেচা বন্ধ করার লক্ষ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রাখা হবে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও ত্বরিত অপসারণ কাজের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।