বাসস রাষ্ট্রপতি-২ : সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার আহবান রাষ্ট্রপতির

529

(আগামীকাল বিকাল পাঁচটার আগে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার বা প্রকাশ করা যাবে না)
বাসস রাষ্ট্রপতি-২
রাষ্ট্রপতি-ঈদুল আজহা
সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার আহবান রাষ্ট্রপতির
ঢাকা, ১০ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে সবাইকে সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন,‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলিম ভাইবোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। ঈদ মোবারক।’
তিনি বলেন, মহান আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর পবিত্র ঈদুল আজহা। ‘আজহা’ অর্থ কোরবানি বা উৎসর্গ করা। ঈদুল আজহা উৎসবের সাথে মিশে আছে চরম ত্যাগ ও প্রভুপ্রেমের পরাকাষ্ঠা। মহান আল্লাহর নির্দেশে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়ে হযরত ইব্রাহিম (আঃ) আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা ইতিহাসে অতুলনীয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কোরবানি আমাদের মাঝে আত্মদান ও আত্মত্যাগের মানসিকতা সঞ্চারিত করে, আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীর সঙ্গে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেয়ার মনোভাব ও সহিষ্ণুতার শিক্ষা দেয়। কোরবানির মর্ম অনুধাবন করে সমাজে শান্তি ও কল্যাণের পথ রচনা করতে আমাদের সংযম ও ত্যাগের মানসিকতায় উজ্জীবিত হতে হবে। ত্যাগের শিক্ষা আমাদের ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হলেই প্রতিষ্ঠিত হবে শান্তি ও সৌহার্দ্য।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত। আবহমানকাল থেকে বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে জাঁকজমকের সাথে নিজ নিজ ধর্ম ও আচার-অনুষ্ঠানাদি পালন করে আসছে। এটা দেশের সম্প্রীতির এক অনুপম ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে সমুন্নত রেখে দেশ ও জাতির কল্যাণে তা কাজে লাগাতে হবে। সকল ধর্মের মূল বাণী হচ্ছে মানবকল্যাণ। কোন ধর্মই সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সমর্থন করে না। কোরবানির শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে প্রতিফলিত হোক।
আবদুল হামিদ বলেন, মহান আল্লাহর নিকট কোরবানি কবুল হওয়ার জন্য শুদ্ধ নিয়ত ও উপার্জন থাকা আবশ্যক। পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি দেয়া ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণে সকলে সচেষ্ট থাকবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যে, পবিত্র ঈদুল আজহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ এবং সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ ।
বাসস/তবি/এমআর/২০৩০/জেহক