বাসস দেশ-৪৩ : কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কর্মী কাজ করবে : মেয়র আতিক

286

বাসস দেশ-৪৩
ডিএনসিসি-সংবাদ সম্মেলন
কোরবানির বর্জ্য অপসারণে প্রায় সাড়ে ৯ হাজার কর্মী কাজ করবে : মেয়র আতিক
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় প্রায় সাড়ে ৯ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী কাজ করবে।
ডিএনসিসি’র নিজস্ব ২ হাজার ৪শ’ জন এবং বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পাশাপাশি আরো ১ হাজার ১শ’ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য সরানোর কাজে অংশ নিবে।
এছাড়াও বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য পিডাব্লিউসিএসপি’র প্রায় সাড়ে ৪ হাজার শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে।
ডিএনসিসি’র মেয়র আতিকুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঈদের দিন থেকে জবাইকৃত কোরবানির পশুর বর্জ্য তাৎক্ষণিকভাবে অপসারণ এবং কোরবানির পশুর হাটসমুহ দ্রুত পরিষ্কারের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব বর্জ্যবাহী ট্রাক, ভারী যন্ত্রপাতি, ওয়াটার বাউজারের পাশাপাশি আউটসোর্সিং হতে অতিরিক্ত গাড়ি নিয়োজিত করা হবে।
ঈদ উপলক্ষে বর্জ্য পরিবহন সক্ষমতা কমপক্ষে ১০ হাজার টনে উন্নীতকরণে প্রয়োজনীয় যান-যন্ত্রপাতি নিয়োজিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগের দিন থেকে ঈদের পরবর্তী ২ দিন নিরবচ্ছিন্নভাবে বর্জ্য অপসারণে বর্জ্যবাহী ড্রাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারী যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপভ্যানসহ সর্বমোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোরবানির পশুর বর্জ্য যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টির কারণ না হয়, সে লক্ষ্যে কোরবানির পশু জবাইয়ের স্থানে ১০টি ওয়াটার বাউজারের মাধ্যমে তরল জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রেকরণের ব্যবস্থা এবং বর্জ্য ব্যাগ ও ব্লি¬চিং পাউডারসহ পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহৃত অন্যান্য উপকরণ সম্মানিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের মাধ্যমে সংশ্লি¬ষ্টদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে বর্জ্য ব্যাগ ৫ লাখ ৮০ হাজার, ৪০ হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার, ২ হাজার ৭২০ লিটার তরল জীবনুনাশ ও ৩১৫ লিটার ফিনাইল রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, মহাখালী পশু জবাইখানায় যারা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন, তাদের পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতির ২৫ শতাংশ খরচ ডিএনসিসি বহন করবে। এছাড়াও ডিএনসিসির গাড়ি দিয়ে মাংস বাড়ি পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি ও ত্বরিত অপসারণ কাজের স্বার্থে সংশি¬ষ্ট কর্মকর্তাদের ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাসস/সবি/জেডআরএম/২০৩৫/এসই