সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকরে একসঙ্গে কাজ করতে ঢাকা ও দিল্লীর মধ্যে ঐকমত্য

781

নয়াদিল্লী, ৭ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ ও ভারত চোরাচালান প্রতিরোধ এবং সীমান্ত ব্যবস্থাপনা আরো কার্যকরে একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আজ এখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সপ্তম দফা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদেরকে নিরাপদে ও দ্রুত স্বদেশ প্রত্যাবসানে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। ২০১৭ সাল থেকে ৪ কিস্তিতে ভারত সরকার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মানবিক সহযোগিতা প্রদান করায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা শেষে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলাদেশ ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানান।
সভায় ১৬ সদস্যের বাংলাদেশ দলের অন্যরা হলেন ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলী, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষাসেবা বিভাগের সচিব মোঃ শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. মোঃ জাবেদ পাটোয়ারী, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সোহাইল হোসেন খান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহম্মেদ, জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুবকর সিদ্দীক, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক নীলিমা আক্তার, জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জনাব মোঃ তারেক প্রমুখ।
ভারতের পক্ষে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শ্রী জি কিষাণ রেড্ডি, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও শ্রী নিত্যানন্দ রাই, ইউনিয়ন স্বরাষ্ট্র সচিব রাজিব গৌভা ও সচিব (সীমান্ত ব্যবস্থাপনা) বি আর শর্মা প্রমুখ।