ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের প্রতি গুরুত্ব দিলেন কোলকাতার ডেপুটি মেয়র

291

ঢাকা, ৫ আগস্ট, ২০১৯ (বাসস) : কোলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ডেঙ্গু প্রতিরোধে কীটনাশক প্রয়োগের চেয়ে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। তিনি আজ সোমবার দুপুর পৌণে তিনটায় রাজধানীর গুলশানস্থ নগর ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোলকাতা থেকে তিনি ভিডিও কনফারেন্সে বলেন,‘কোলকাতা পৌরসভা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার এ দু’টি ভাগে বিভক্ত করেছে। কোলকাতা পৌরসভা ২০০৯ সাল থেকে ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণে তিন স্তর বিশিষ্ট মনিটরিং চালিয়ে যাচ্ছেন। ওয়ার্ড, বরো ও হেড কোয়ার্টার এ তিন পর্যায়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা হয়। কোলকাতায় সারা বছর ধরে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মনিটরিং এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় বলেও তিনি জানান।
ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, ‘মশারে করো উৎসে বিনাশ’ এই স্লোগান নিয়ে বাসা-বাড়ি কিংবা উন্মুক্ত জলাশয় যেখানেই এডিস মশার প্রজননস্থল পাওয়া যায় তা ধ্বংস করা হয়। ঢাকার কোন কোন এলাকা ডেঙ্গু প্র্রবণ তা চিহ্নিত করে সে অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণেরও পরামর্শ দের তিনি।
অতীন ঘোষ বলেন, ‘প্রয়োজনভিত্তিক কৌশলী হতে হবে’। কোলকাতা পৌরসভা নয় বছর যাবত অবকাঠামোভিত্তিক লড়াই চালিয়ে আজকের অবস্থানে এসেছে। একই সাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে তিনি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপরও গুরুত্ব আরোপ করেন।
কোলকাতার ডেপুটি মেয়র জানান, কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে ফগার মেশিনের সাহায্যে ধোঁয়া প্রয়োগ কার্যকরী হলেও এডিস মশা দমনে এর কার্যকারিতা কম। এডিস মশা দমনে উৎসে নির্মূল করা এবং জনসচেতনতা তৈরি করারও বিকল্প নেই বলে অতীন ঘোষ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধের লক্ষ্যে আইন পরিবর্ধন করে শাস্তির পরিমান বাড়ানো হয়েছে। ফলে মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন।
ডিএনসিসি মেয়র কোলকাতার ডেপুটি মেয়রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকের এই কনফারেন্স থেকে আমাদের অনেক ‘নলেজ শেয়ারিং’ হলো। কোলকাতার অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে পারবো। কোলকাতার সাথে এ ধরণের ‘নলেজ শেয়ারিং’ এটি প্রথম হলেও শেষ নয়। ভবিষ্যতে দুই শহরের যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মো. খলিলুর রহমান, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার, কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, কলকাতা পৌরসভার চিফ ভেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ডা. দেবাশীষ বিশ্বাস, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মনিরুল ইসলাম, উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সুব্রত রায় চৌধুরী, স্বাস্থ্য বিষয়ক মূখ্য পরামর্শক ডা. তপন মুখার্জী প্রমূখ ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন।