ইতিহাস নিয়ে নাটক ‘মহাস্থান’ বগুড়ায় মঞ্চস্থ হবে

645

ঢাকা, ২১ মার্চ , ২০১৮ (বাসস) : দেশের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থান গড়ের আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নাটকে উঠে আসছে। এই নাটকের নাম হচ্ছে ‘ মহাস্থান ’।
আগামী ৬ ও ৭ মার্চ এই নাটকের উদ্বোধনী দুটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে বগুড়ার ঐতিহাসিক স্থান মহাস্থান গড়ে। নাটকের শেষ পর্যায়ের মহড়া গত কয়েকদিন ধরে সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মাঠে চলছে। মাঠের বিশাল এলাকাজুড়ে শতাধিক শিল্পী,অভিনেতা,কলাকুশলী প্রতিদিন মহড়ায় অংশ নিচ্ছেন। একাডেমির মাঠের বিশ হাজার বর্গফুট জায়গা নিয়ে মহড়া হচ্ছে।
দেশে প্রথমবারের মতো ঐহিহাসিক বিষয়ে বিশাল অবকাঠামো নিয়ে নাটকটি মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি নাটকটি প্রযোজনা করছে। নাটকটি রচনা করেছেন সেলিম মোজাহার। নির্দেশনা দিচ্ছেন অভিনেতা,নাট্যজন ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।
এতো বিশাল জায়গা নিয়ে নাটকের মহড়া হওয়ার বিষয়ে নাটকের নির্দেশক লিয়াকত আলী লাকী বাসসকে জানান, নাটকের বিষয় ও উপস্থাপনের প্রয়োজনেই এতো বিশাল জায়গায় মহড়া হচ্ছে। নাটকটি বগুড়ার মহাস্থান গড়ের বাসু বিহারে ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গায় মঞ্ছস্থ হবে। আর শিল্পকলা একাডেমির ২০ হাজার বর্গফুটে আমরা মহড়া করছি।
নাটকের মঞ্চের অবকাঠামোর মধ্যে ধারাবাহিকভাবে ৩০০ জন অভিনয় করবেন। নাটকের মধ্যে ইতিহাস,তার আলোকে নৃত্য-গান,জারিসারিসহ মহাস্থানগড়ের পুরো ইতিহাস ও সংস্কৃতিধারা উঠে আসবে। এ সবরের মধ্যে রয়েছে আদি,বৈদিক, রামায়ণ,কালিদাস,চর্যাপদ,পঞ্চকবি,লালনসহ বিভিন্ন যুগের সংস্কৃতি।
নাটকের রচয়িতা সেলিম মোজাহার বাসসকে জানান, এ নাটক ইতিহাস,পুরাণ,লোকশ্রুতি,কিংবদন্তি মিলে গড়ে উঠেছে। বাংলায় রাজনৈতিক ইতিহাসের সাথে যে সাংস্কৃতিক ইতিহাসও রয়েছে-তাও এ নাটকের মধ্যদিয়ে নাটকপ্রিয় মানুষ জানতে পারবেন।
‘ মহাস্থান ’ গড় নাটকটিতে উঠে আসবে বিভিন্ন যুগের আলাদা আলাদা করে ইতিহাস,গান,নৃত্য ও বর্ণনা। নাটকের গল্প আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে এসে শেষ হয়ে যাবে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের ‘ আমার পরিচয় ’ কবিতা পাঠের মধ্যদিয়ে। দুই ঘন্টার নাটকটির সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন কমল খালিদ।
শিল্পকলা একাডেমির নাট্যবিভাগ থেকে জানান হয়, নাটকটি একাডেমির নিজম্ব প্রযোজনা। এতে ঢাকার ৬০জন এবং বগুড়ার ১০০জন অভিনয় শিল্পী অংশ নেবেন। অন্যদিকে ঢাকার ৩০ জন ও বগুড়ার ৭০ নৃত্য শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। শিল্পী কলাকুশলী মোট ৩০০জন।
নাটকের প্রযোজনা সমন্বয়কারী হচ্ছেন আলী আহমেদ। তিনি জানান,এক বছর আগে নাটকটির কাজ শুুর হয়। এখন মহড়া চলছে চূড়ান্ত পর্যায়ে। এটি একাডেমির একটি পরীক্ষামূলক বড় আকারের নাটক। ভবিষ্যতেও এ ধরনের বড় কাজ অব্যাহত রাখবে একাডেমি।