এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে জেল-জরিমানা : সাঈদ খোকন

722

ঢাকা, ১৯ মার্চ ২০১৮ (বাসস) : বাসাবাড়িতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া গেলে ভবন মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্বচ্ছ ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ নগরভবনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘আগামী ৮ এপ্রিল বাসাবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করা হবে। তখন কোন বাড়িতে এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র পাওয়া যাবে বা লার্ভা পাওয়া যাবে, আইনানুযায়ী সেসব ভবন মালিকের বিরুদ্ধে অর্থদন্ড, কারাদন্ড এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।’
এসময় তিনি আইনের ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, ‘প্যানাল কোর্টের ২৬৯ এবং ২৭০ এর আওতায় আমাদের দন্ড দেয়ার বিধান রয়েছে। আমরা চাইন না কোনো নাগরিক কোনোক্রমে বিব্রত অবস্থার মধ্যে পড়ুক। পাশাপাশি এও চাই, কারো কোনো অবহেলার কারণে অন্য কোনো নাগরিক যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন।’
ডিএসসিসি’র স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত ‘মশক বাহিত রোগ প্রতিরোধ ও মশক নিয়ন্ত্রণ’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় মেয়র নগরবাসীকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাসাবাড়ি বা বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত টায়ার বা কন্টেইনারে স্বচ্ছ পানি জমে থাকলে পরিচ্ছন রাখতে আগামীকাল থেকে সংবাদমাধ্যমে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে। একইসঙ্গে ১ লাখ ৬৫ হাজার বাসাবাড়িতে সচেতনতামূলক গণবিজ্ঞপ্তি পৌঁছে যাবে। প্রত্যেক বাড়ির মালিককে এই গণবিজ্ঞপ্তি বা নোটিশ জারি করা হবে। নোটিশে উল্লেখ থাকবে ভবনগুলো পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন, কোনোক্রমে কোনো অবস্থাতেই যেন এডিস মশার প্রজননক্ষেত্র না থাকে এটা নিশ্চিত করবেন।’
নিয়মিত এই কার্যক্রম কার্যক্রম ২০ মার্চ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে এবং ৮ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
মতবিনিময় সভা শেষে মেয়র সাঈদ খোকন আনন্দবাজার এলাকায় আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় এলাকার যেসব দোকান মালিক ফুটপাত দখল করে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ করে রেখেছিল তাদের এগুলো সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন। এরপর এসব এলাকায় আবর্জনা পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও এ সময় জানিয়ে দেন।
ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলালের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাহউদ্দীন, স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজা মোহাম্মদ হাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. দেবাশীষ সরকার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, আইসিডিডিআরবির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নুজহাত নাসরিন বানু ও সেফওয়ে পেস্ট কন্ট্রোলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।