প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে হবে : শিল্পমন্ত্রী

172

ঢাকা, ২৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারিদের শাসক নয়, সেবকের মানসিকতা নিয়ে জনকল্যাণে অর্পিত দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দিয়েছেন। জন প্রশাসনে কর্মরত কর্মচারিরা জাতির মেধাবী সন্তান। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্য বাস্তবায়নে তাদেরকে সর্বোচ্চ সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে। মোসাহেবী নয়, কর্মই কর্মচারীদের পরিচয় করিয়ে দেবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ঔপনিবেশিক প্রশাসনের পরিবর্তে জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন তৈরি হয়েছে। জনগণের করের টাকায় প্রশাসনের কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। এ বিবেচনায় সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সিংহভাগ দায়িত্ব জনপ্রশাসনের ওপর বর্তায়।
তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানাগুলোকে লাভজনক করতে সর্বোচ্চ দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন। জনগণকে কষ্ট দিয়ে রাস্তাঘাট বন্ধ ও মানুষকে জিম্মি করে কোনো দাবি আদায় করা যাবে না উল্লেখ করে তিনি সম্মিলিত উদ্যোগে শ্রমিক-কর্মচারি নির্বিশেষে যে কোনো সমস্যা সমাধানের তাগিদ দেন।
আজ ছিল পাবলিক সার্ভিস দিবস। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপিত হয়েছে । এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আজ দিনব্যাপী উদ্ভাবন ও সেবামূলক কর্মকা-ের প্রদর্শনীর আয়োজন করে ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন । শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। শিল্প মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিম।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করতে হবে। যারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করবে, তাদের পুরস্কৃত করা হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত কল-কারখানায় দুর্নীতি সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন. শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিসিআইসির সার কারখানাগুলোর পারফরমেন্সের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে খাদ্যে স্বয়ংসস্পূর্ণ হয়েছে। সার আমদানির পরিবর্তে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে সার রপ্তানির যোগ্যতা অর্জনের তাগিদ দেন মন্ত্রী ।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানাগুলো লাভজনক করতে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। একই সাথে কাজ না করে অবৈধভাবে বেতন-ভাতা উত্তোলনের প্রবণতা পরিহার করতে হবে। তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কারখানার ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যে কোনো অবৈধ হস্তক্ষেপ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে উল্লেখ করেন।
শিল্প সচিব বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী জনগণকে পরিবারের সদস্যদের মত বিবেচনা করে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করতে হবে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত কর্মপরিকল্পনা অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বর্তমান সরকারের ইশতেহারে ঘোষিত গ্রাম ও শহরের বৈষম্য দূরীকরণে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন প্রতিষ্ঠানগুলো নিরলসভাবে কাজ করছে বলে তিনি জানান।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রণালয় প্রাঙ্গণে বিভিন্ন দপ্তরের উদ্ভাবন ও সেবামূলক কর্মকা-ের প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী, শিল্পসচিবসহ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।