ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে (২০১৮-’১৯ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় প্রায় শতভাগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় প্রকল্পের জাতীয় বাস্তবায়নের হার ছিল ৯৪ দশমিক ৩৬ ভাগ।
অপরদিকে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় ৪৯ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এজন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৮১৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
আজ সোমবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কমসূচির (আরএডিপি) এক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
সবায় উল্লেখ করা হয়,২০১৮-১৯ অর্থবছরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভূক্ত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের শতকরা ৯৯ দশমিক ৬৯ ভাগ ব্যয় করেছে। গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এ হার ছিল ৯৯ দশমিক শুন্য ৬ ভাগ।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবদুস সামাদসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থাপ্রধানগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থবছরের শুরুতেই মাইক্রোস্কোপ মনিটরিংয়ের ওপর গুরত্বারোপ করা হয়। কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় জানানো হয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আরএডিপিতে মোট ৬৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৮১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এরমধ্যে ৪ হাজার ৮০২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ৬৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে আরএডিপিভূক্ত প্রকল্প ৫০টি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প ১৫টি । আরএডিপিভূক্ত প্রকল্পের জন্য ৩ হাজার ৫৮৪ কোটি ৭১ লাখ এবং নিজস্ব প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ২৩২ কোটি ৯ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
সভায় জানানো হয় যে, আরএডিপির ৫০টি প্রকল্পের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ’র ২৩টি, বিআইডব্লিউটিসি’র তিনটি, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাতটি, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) একটি, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের দু’টি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের একটি ও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একটি এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ১৫টি প্রকল্পের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ১১টি, বিআইডব্লিউটিসি’র দু’টি ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দু’টি প্রকল্প রযেছে।