ঢাকা, ২২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ঢাকায় নির্মাণাধীন ভবনে জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট ভবন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর নিতে এসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে এডিস মশার প্রজনন স্থল অন্যান্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি। যেসব নির্মাণাধীন ভবনে পানি জমে থাকার ফলে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাবে সেসব ভবন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ভবন মালিক এবং কর্তৃপক্ষকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কাজ চলার সময় কোনভাবেই ভবনে পানি না জমে এবং এডিস মশার লার্ভা বংশ বিস্তার করতে না পারে। আমরা চিহ্নিত করছি যেসব ভবন মালিকরা নগর কর্তৃপক্ষের এ কার্যক্রমে সাড়া দিচ্ছেন না। সেসব নির্মাণাধীন ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে নগর কর্তৃপক্ষ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবে।’
মেয়র জানান, আজ থেকে শুরু হয়ে যতদিন পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় ততদিন এসব মোবাইল কোর্ট চলবে।
তিনি বলেন, ডিএসসিসি’র ৫৭ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি বাসায় পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা যাচ্ছেন। যে বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ধ্বংস করে পরিষ্কার করে দিয়ে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও এডিস মশার লার্ভা যেন জন্মাতে না পারে সেজন্য বাসিন্দাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। আমাদের টার্গেট আছে ১৫ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বাসা এডিস মশার লার্ভামুক্ত করা। ডিএসসিসির ৬৮ টি মেডিকেল টিম পাড়া-মহল্লায় কাজ করছে।
সাঈদ খোকন জানান, ইতোমধ্যে ২৫ হাজারের ঊর্ধ্বে ডেঙ্গু রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যাদের অবস্থা বেশি খারাপ তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
শিশু হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের পরিচালকসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মেয়র চিকিৎসকদের সাথে নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের কাছে তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন।