বরিশালের সাধারণ মানুষের জীবনধারা গতিশীল করে তুলেছে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি

545

॥ শুভব্রত দত্ত ॥
বরিশাল, ২২ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : দেশের অন্যান্য জেলার সাথে বরিশালের সাধারণ মানুষের জীবনযাপন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবস্থাপনা, কর্মপদ্ধতি, শিল্প-বাণিজ্য ও উৎপাদন, অর্থনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনধারা গতিশীল করে তুলেছে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি।
জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দফতরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশ্বের সর্বাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিটি ঘরে ঘরে আজ সবার কাছে ডিজিটাল প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। সকল স্তরে ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তির এ ব্যবহার সব ধরণের কর্মকান্ডকে গতিশীল করে তুলেছে। বিভাগীয় সকল প্রশাসনিক কর্মকান্ডে বর্তমানে ব্যবহার হচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির। যার ফলে গ্রাম থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত সকল মানুষের সমস্যা সরকার প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের কেন্দ্রীয় দপ্তর পর্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যেই পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে গুরুতর সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া সম্ভব হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হচ্ছে। তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে এখন আর গ্রামীণ জনপদের মানুষের শহরের সরকারি দপ্তরগুলোতে গিয়ে ভিড় করতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য।
এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসন সহকারী কমিশনার এসএম রবিন শীষ বলেন, জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আমরা আজ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বায়োমেট্রিক হাজিরার মধ্য দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারছি।
ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ খালেদা খাতুন রেখা বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপজেলার বেশির ভাগ প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালিত হয়। আর একারণেই সাধারণ মানুষ সহজেই তাদের সেবা পেয়ে থাকে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) প্রশান্ত কুমার দাশ বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাচ্ছে সরকারের সেবা।
এ ব্যাপারে বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) রাম চন্দ্র দাস বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে সরকারের কর্মকান্ডে গতিশীলতা আসছে। যে কারণে সময় ও অর্থনৈতিক সাশ্রয় ঘটছে সরকার ও জনগণের। উপকৃত হচ্ছে রাষ্ট্র ও সাধারণ মানুষ।
উদাহরণ স্বরূপ তিনি বলেন, প্রশাসনিক কর্মকান্ড গতিশীল করতে স্কাইপি, ভিডিও কনফারেন্সিং, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার এসব ব্যবহার করছে উপজেলা থেকে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সর্বোচ্চ কর্মকর্তারা, যখনই প্রয়োজন মনে করেন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জেলা ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হন ভিডিও কনফারেন্সিং এ।
তিনি আরো বলেন প্রশাসনে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে রয়েছে ওয়েব ও ফেসবুক পেজ। জনগণ তাদের সমস্যার কথা এসব সামাজিক মাধ্যমে ঘরে বসেই তুলে ধরতে পারে। আর একারণে দ্রুতই দেয়া যায় যে কোন সেবা ও সিদ্ধান্ত। ইন্টারনেট সংযোগের সহজ লভ্যতার কারণে আমরা যেখানেই থাকিনা কেন ই-ফাইলিং-এর মাধ্যমে জনগণের আবেদন নিবেদন সমস্যা নিষ্পত্তি করতে পারি মুহুর্তেই।