বাসস দেশ-৪১ : খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে : সংলাপে বক্তারা

329

বাসস দেশ-৪১
ইআরএফ-আলোচনা
খাদ্য অধিকার আইন প্রণয়ন করতে হবে : সংলাপে বক্তারা
ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও দেশের মোট জনসংখ্যার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ অতিদরিদ্র ২ কোটি এবং দরিদ্র ২ কোটিসহ মোট ৪ কোটি মানুষের অর্ধেকের বেশি প্রয়োজনের তুলনায় কম খেতে পায়। অপরদিকে, সমাজে আয়-বৈষম্যের কারনে শীর্ষ ১০ ভাগ ধনী পরিবারের আয় মোট জাতীয় আয়ের ৩৮ শতাংশ এবং নি¤েœ অবস্থানকারী ১০ ভাগ অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠী মোট জাতীয় আয়ের মাত্র ১ শতাংশের মালিক।
এমন পরিস্থিতি দেশে সকল মানুষের মৌলিক অধিকার, খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বস্ত্র ও বাসস্থান প্রতিষ্ঠার বিষয়কে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন করে তুলছে। তাই অবিলম্বে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নে উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে অতিদরিদ্র ও দরিদ্র মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
রোববার রাজধানীর পূরানা পল্টনে ইকনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন।
খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে সংলাপের আয়োজন করে।
ইআরএফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলমের সভাপতিত্বে সংলাপে ‘ইকো কোঅপারেশন’ এর লবি এ- এডভোকেসি এক্সপার্ট আরশাদ সিদ্দিকী, ইআরএফ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান, গাজী টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক রাজু আহমেদ,জনকন্ঠের বিজনেস এডিটর কাওসার রহমান,ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের বিশেষ প্রতিনিধি দৌলত আখতার মালা, যুগান্তরের মনির হোসেন, বণিক বার্তার সানোয়ার শাহীন প্রমুখ আলোচনায় নেন। সংলাপ সঞ্চালনা করেন ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ণে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষেয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ-এর সাধারণ সম্পাদক ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী।
বক্তারা বলেন, সংবিধান খাদ্য অধিকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে কিন্তু সময়ের প্রক্ষোপটে এখন প্রয়োজন আইন তৈরি করা। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধন করেছে এবং ক্রমাগতভাবে দারিদ্র্যের হার কমে আসার ক্ষেত্রেও ঈর্ষাণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। কিন্তু এরপরেও এখনো বাংলাদেশের ২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ অপুষ্টির শিকার। যার মধ্যে প্রায় ৪৪ শতাংশ নারী রক্ত স্বল্পতায় ভূগছে। এদের খাদ্য ও পুষ্টির দিকে বিশেষ মনযোগ দিতে এবং তা নিশ্চিতে খাদ্য অধিকার আইন প্রনয়ণ জরুরী বলে মত প্রদান করেন বক্তারা।
সংলাপে ‘খাদ্য অধিকার আইন’ প্রণয়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে উল্লেখ করে আলোচকরা বলেন,এ বিষয়ে গণমাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি পরিস্থিতির বিষয়ে প্রকৃত পরিস্থিতি তুলে ধরা, পরিস্থিতি বিশ্লেষণের আলোকে খাদ্য অধিকার আইনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে দেশব্যাপি সচেতনতা তৈরিতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
বাসস/আরআই/১৯৪৫/কেএমকে