শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিদায়ী অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি শতকরা ৯৯ দশমিক ৩০ ভাগ

236

ঢাকা, ২১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : সদ্য বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয় সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থের শতকরা ৯৯ দশমিক ৩০ ভাগ ব্যয়ে সক্ষম হয়েছে।
এক্ষেত্রে জাতীয় অগ্রগতির হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৩২ ভাগ। উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ অগ্রগতির হার ছিল ৭৫.৪২ ভাগ।
আজ ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শিল্প সচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন প্রধান অতিথি ছিলেন। সভায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৫৩টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৮টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৪টি কারিগরি এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সব মিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৮৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবি খাতে ১ হাজার ৩০ কোটি ১ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য খাতে ৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।
সভায় প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। এ সময় সদ্য বিদায়ী অর্থবছরের অভিজ্ঞতার আলোকে চলতি অর্থবছরের এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে প্রকল্প বাস্তবায়নে সফল কর্মকর্তাদের পুরস্কারের পাশাপাশি ব্যর্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, যেসব প্রকল্প পরিচালক ইচ্ছাকৃতভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব করেছেন বলে প্রতীয়মান হবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে পুরাতন ধ্যান-ধারণা পরিহার করে মন্ত্রণালয়ের কর্ম সম্পাদন গতির সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করার জন্য প্রকল্প পরিচালকদের প্রতি আহবান জানান।
শিল্পসচিব আসন্ন ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে অসত্য তথ্য পরিবেশন করে কোনো মহল যাতে চামড়া ও লবণ নিয়ে কোনো ধরণের অনাকাক্সিক্ষত পরিবেশ সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য এখন থেকেই এ বিষয়ে বাস্তব তথ্য গণমাধ্যমে তুলে ধরতে বিসিকের প্রতি নির্দেশনা দেন।
এর আগে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান জেনারেল ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিঃ (জেমকো) এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিঃ এর মধ্যে লিজ দলিল স্বাক্ষরিত হয়।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী, শিল্প এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব, উভয় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।