বাজিস-৫ : বন্যায় বগুড়ার তিন উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

156

বাজিস-৫
বরগুনা- বন্যা
বন্যায় বগুড়ার তিন উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি
বগুড়া, ২১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় যমুনা নদীর পানি দ্রুত কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে ফসলী জমির ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠেছে। এতে দেখা যায় তিন উপজেলায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বগুড়ার যমুনা তীরবর্তী ৩ টি উপজেলা সারিয়াকান্দি সোনাতলা ও ধুনটের মোট ৬৬ হাজার ৬৩৫ টি কৃষি পরিবার ক্ষতি গ্রস্ত’ হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অফিস সূত্র এ তথ্য জানায়। তিন উপজেলার কৃষকরা জমির ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
যমুনার পানি হ্রাস পেয়ে বিপদ সীমার ৮৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।গত ২৪ ঘন্টায় যমুনার পানি ৩৭ সেন্টিমিটার কমেছে। পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনার পানি আগামী কয়েক দিনেরমধ্যে বিপদসীমার নিচে নেমে যাবে। এ দিকে সারিয়াকান্দিতে বাঙালী নদীর পানি ৫০দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধি-দপ্তরের উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র জানান, বন্যায় জেলার তিন উপজেলায় ১৫ হাজার ৫৬৩ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে আউস ও আমন বীজতলা । তিন উপজেলায় পাট চাষ হয়েছিল ১০হাজার ৫১০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু বন্যায় ক্ষতি হয়েছে৭ হাজার ৫০২ হেক্টর জমির পাট। সব চেয়ে বেশি পাট উৎপাদন হয় সারিয়াকান্দি উপজেলায়। পাটের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত। তবে জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহাম্মদ জানান, বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সরকার সব রকম সহযোগিতা ব্যবস্থা নেবে। তিন উপজেলায় আউস উৎপাদন হয়েছিল ৯ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ৬ হাজার ৭৯৩ হেক্টর জমির আউস পানিতে তলিয়ে গেছে। ১৫৩ হেক্টর জমির শাক-সবজি একবারে বিনষ্ট হয়েছে। ১০ হেক্টর জমির কাঁচা মরিচ তলিয়ে যাওয়ায় জেলা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। গত দুদিন আগে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হলেও রোববার থেকে খুচরা বাজারে মরিচের কমতে শুরু করেছে। এখন মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।
আমন রোপণ শুরু হবে ভাদ্র মাস থেকে। আমন চাষকে সামনে রেখে কৃষকরা যে আমন বীজ করেছিল তার অধিকাংশ নষ্ট হয়ে গেছে। তিন উপজেলায় ২ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আমন বীজ তলা করেছিল কৃষক। এর মধ্যে ১ হাজার ১০৮৬ হেক্টর বীজতলা বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে যে আমন বীজের সংকট দেখা দেবে তার জন্য কৃষি বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। জেলার অন্য যে ৯ টি উপজেলায় বন্যার আঁচ লাগেনি সেখান থেকে আমন বীজ এনে চাহিদা পূরণ করা হবে। কৃষি কর্মকর্তারা জানান,বন্যা কবলিত অঞ্চলে আমন বীজ তলার ক্ষতি হলেও চারা সংকট হবে না।
কৃষি ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বন্যা পারবর্র্তী সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন এমটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বাসস/সংবাদদাতা/১৪২২/নূসী