বাজিস-৩ : বগুড়ায় যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে

176

বাজিস-৩
বগুড়া- যমুনার পানি
বগুড়ায় যমুনার পানি কমতে শুরু করলেও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে
বগুড়া, ২০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করলেও এখনও বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাঙালী নদীর পানিও বাড়ছে
সপ্তাহ ব্যাপী বন্যায় জেলার তিনটি উপজেলায় ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ১৩ জুলাই যমুনার পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে বিপদসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর থেকে যমুনার পানি বাড়তে বাড়তে ১৮ জুলাই রাত ১২ টায় ১২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকে। ১৯ জুলাই সকাল ৯টা থেকে যমনুার পানি কমতে শুরু করে।
শনিবার সকাল ৯ টায় যমুনার পানি কমে বিপদ সীমার ১১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানান পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাসুদ। তিনি আরো জানান যমুনার পানি কমলেও শনিবার বেলা ১২ টায় বাঙালী নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে এখন ১১ দশমিক ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।
শুক্রবার তিন উপজেলা সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনটে ৯ হাজার ৬৫৯ হেক্টর ফসলী জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে পাটের ক্ষতি হয়েছে ৫৫১২ হেক্টর, আউস ধানের ক্ষতি হয়েছে ৪০১০ হেক্টর জমির, বিভিন্ন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৬১ হেক্টর জমির। ৬২ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ১০ হেক্টার মরিচ নষ্ট হয়েছে। আখের ক্ষতি হয়েছে ৪ হেক্টরের।
২৩৩০টি ল্যাট্রিন, ২৭৩৬টি নলকূপ পানিতে ডুবে গেছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুজ্জামান জানান গত এক সপ্তাহে ১ লাখ ৮৫০ পিস পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হায়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকবিলায় ৬শ’ টন জিআর চাল ,১০ লাখ টাকা পাওয়া গেছে। ২৬৩ মেট্রিকটন চাল ও ১০ লাখ টাকা মজুদ আছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত স্থানীয় এমপি আব্দুল মান্নান ও ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম দুর্গম অঞ্চলে বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছে।
জেলার বন্যা দুর্গত অঞ্চলর মানুষ এখনও যারা বাড়ি-ছেড়ে যায়নি তারা ঘরের মধ্যে মাচা উঁচু করে বসবাস করছে। আড়াই হাজার পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩০০/নূসী