জঙ্গিবাদ নির্মূলে সুস্থ সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি

746

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ দূর করতে সংস্কৃতির বিকাশের ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সুস্থ সংস্কৃতির লালন ও বিকাশে সকলের প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যকলা হলে ‘শিল্পকলা পদক -২০১৮’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশে সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ দূর করতে আপনাকে সংস্কৃতিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে হবে।
সংস্কৃতিকে সামাজিক অধপতন রোধের রক্ষাকবচ হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও হিংসা-বিদ্বেষ দূর করতে সংস্কৃতির বিকাশ খুবই জরুরি।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আকাশ সংস্কৃতির কারণে আমাদের স্থানীয় সংস্কৃতিতে ভিন দেশী সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ ঘটছে। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে যতটুকু সামঞ্জস্যপূর্ণ ততটুকুই গ্রহণ করতে হবে। তিনি অপ্রয়োজনীয় বিজাতীয় ও অপসংস্কৃতির সব কিছুই বর্জন করতে হবে।
সংস্কৃতিকে সমাজের দর্পণ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সমাজের কোন ক্ষতি করতে পারেন না।
আবদুল হামিদ অভিভাবকদেরকে তাদের সন্তানদের শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িত হতে উৎসাহ দেয়ার আহ্বান জানান।
হামিদ বলেন, শিক্ষা বিষয়ক কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা মানবিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সহায়ক হতে পারে।
ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর ওপর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের প্রশঙসা করে তিনি বলেন, এই পুরস্কার প্রদানের উদ্যোগ নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি অত্যন্ত ভাল একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি এই উদ্যোগ একটি মানবিক সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।’
রাষ্ট্রপতি ৭টি ক্যাটাগরিতে ৭ জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে নিজ নিজ অঙ্গনে অসামান্য অবদান রাখার জন্য মর্যাদাপূর্ণ ‘শিল্পকলা একাডেমি পদক ২০১৮’ প্রদান করেন।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হচ্ছেন চিত্রকলায় আলোকেশ ঘোষ, নাট্য শিল্পে এম হামিদ, যন্ত্র সঙ্গীতে সুনীল চন্দ্র দাস, নৃত্যে সুকলাল সরকার, কণ্ঠসঙ্গীতে গৌর গোপাল হালদার, আবৃতিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও লোক সংস্কৃতিতে মিনা বড়–য়া।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বক্তৃতা করেন।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন।