বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনে সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বিএবি’র জনবল বাড়ানো হবে : শিল্পমন্ত্রী

210

ঢাকা, ১৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদনে সহায়ক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) জনবল ও কর্মক্ষেত্র বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, বিএবি ইতোমধ্যে দেশিয় শিল্পপণ্যের গুণগতমান আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে কার্যকর অবদান রেখেছে। গুণগত শিল্পায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে দ্রুত এগিয়ে নিতে এর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা জোরদার করা হবে।
বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) প্রকাশিত নিউজলেটারের মোড়ক উন্মোচন এবং অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী আজ এ কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
বিএবি’র চেয়ারম্যান ও শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএবি’র মহাপরিচালক মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম। প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম তুলে ধরেন উপপরিচালক মনিরুল হক পাশা। এতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ ও একেএম শামসুল আরেফীন, যুগ্মসচিব মীর খায়রুল আলমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আলোচনায় অংশ নেন। অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিশ্বায়নের ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রতিযোগিতা ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। এতে টিকে থাকতে শিল্পোন্নত দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অ্যাক্রেডিটেশনের মত বিভিন্ন কারিগরি প্রতিবন্ধকতা আরোপ করছে। এর মোকাবেলায় বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মান অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং জাতীয় পর্যায়ে অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম জোরদারের জন্য বিএবি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। মানসম্মত পণ্য বলতে সব সময় আন্তর্জাতিকমানের পণ্যকে বোঝায় উল্লেখ করে তিনি দেশে উৎপাদিত পণ্য বিনা বাধায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করার যোগ্যতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সরকার টেকসই ও গুণগত শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্বাবলম্বিতা অর্জনে কাজ করছে। সরকারের ইশতেহারেও তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক শিল্পায়নের এবং মানসম্মত পণ্য উৎপাদনের কথা বলা হয়েছে। আন্তর্জাতিকমানের পণ্যের বাইরে কোনো মানসম্মত পণ্য নেই। যে পণ্য উন্নত দেশের নাগরিকরা ভোগ করছেন, একই মানের পণ্য বাংলাদেশের নাগরিকরাও ভোগ করবেন। বাংলাদেশি পণ্যের গুণগতমানের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আস্থা সৃষ্টি এবং তা দীর্ঘস্থায়ী করতে তিনি সর্বোচ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও পেশাদারিত্বের সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য বিএবি’র কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পরামর্শ দেন।
এর আগে শিল্পমন্ত্রী বিএবি প্রকাশিত নিজউলেটারের ১৭তম সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় শিল্পসচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং বিএবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।