১০ লাখ ৪৫ হাজার লোক মাতৃত্ব ও প্রসবোত্তর মাতৃত্ব কালিন ভাতা পাচ্ছে

286

ঢাকা, ১৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ ৪৫ হাজার সুবিধা ভোগি মাতৃত্বকালীন ও প্রসবোত্তর মাতৃত্বকালীন ভাতা পাচ্ছেন। সরকার চলতি অর্থ বছরে এই সুবিধা ভোগির সংখ্যা বেড়ে ১০ লাখ ৪৫ হাজার হয়েছে । এর আগের অর্থ বছরে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই সংখ্যা ছিল সাড়ে ৯ লাখ। সমাজে অসহায়, দুস্থ্য লোকদের সহায়তা দেয়াই হলো এই অর্থ সহায়তা প্রদানের লক্ষ্য। মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র আজ এ খবর জানান। তিনি বলেন, তিন বছরের জন্য এই সহায়তা দেয়া হবে এবং প্রত্যেক মা প্রতি মাসে ৮শ’ টাকা করে ভাতা পাবেন। পাশাপাশি বর্তমান সরকারের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি কর্মসূচি হচ্ছে ভলনারেবল গ্রুপ ডেভলোপমেনট (ভিজিডি) এবং ১০ লাখ ৪০ হাজার অসহায় দরিদ্র, নির্যাতিত, পরিত্যক্ত এবং তালাকপ্রাপ্ত নারীর প্রত্যেকে দু’বছরের জন্য ৩০ কেজি করে চাল পাবে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ি আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ভিজিডি কর্মসূচী চালু করে এবং ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পযর্ন্ত প্রতি দু’বছর মেয়াদি প্রায় ৭১ লাখ নারী সুবিধা ভোগিকে সরকার ৩০ কেজি করে চাল দিয়েছে। সমাজে ছিন্নমূল, অসহায় এবং গর্ভবতী নারীদের সহায়তা দিতে ১৯৬৯-৯৭ অর্থ বছরে ভিজিডি কর্মসূচী চালু করা হয়। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অধিন ২০১০-১১ অর্থবছরের পর থেকে মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং প্রসবোত্তর মাতৃত্ব ভাতা চালু করা হয়। সরকার ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করেছে। এর ফলে সারাদেশে দরিদ্র মায়েরা খুব সহজেই মাতৃত্বকালিন ভাতা পাচ্ছে। ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম সরকারের সামাজিক নিরপত্তা নেট বাস্তবায়নে গুরুত্বপূণ্য ভ’মিকা পালন করছে। সরকার এই কর্মসূচীর মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ অজর্নে সহায়ক হবে।
২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসীচির জন্য সরকার ৬৪.১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এই বরাদ্দ জিডিপির ২.৫৩ শতাংশ এবং মোট বাজেটের ১৩.৮১ শতাংশ। সরকার ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এই কর্মসূচীর জন্য ৪৮,৫২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিল এবং তা ছিল জিডিপি’র ১৩.০৬ শতাংশ।
সরকার ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মাতৃত্ব ভাতার জন্য ৬৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ৩৮০ কোটি টাকা এবং ২০১৬-১৭ অর্থ ভচরের ৩১৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল।
সরকার ২০১৯-২০ অর্থ বছরে নারী উন্নয়নের জন্য ১ লাখ ৬১ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিল, যা মোট বাজেটের যথাক্রমে ৩০.৮২ শতাংশ এবং জিডিপির ৫.৫৬ শতাংশ