শেখ হাসিনার হাতেই দেশ নিরাপদ : তথ্যমন্ত্রী

212

চট্টগ্রাম, ১৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে দেশ নিরাপদ। তাঁর হাত থেকে যদি অন্য কারো হাতে যায় তাহলে দেশ আবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবে।
দেশে আবার খুন-খারাবি বাড়বে। দেশ পথ হারাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাই দেশের যে অগ্রগতি, এই অগ্রগতিকে ধরে রাখতে হলে আজকের তরুণরা যে স্বপ্ন দেখেন সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, জনগণের সমর্থন ছাড়া একদিনও আমরা রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে চাই না। অব্যাহতভাবে জনগণের সমর্থন পেতে হলে সবাইকে জনগণের পাশে থাকতে হবে। শেখ হাসিনা সব সময় জনগণের পাশে ছিলেন বিধায় জনগণ ও তাঁর পাশে আছে।
ড. হাছান আজ দুপুরে ‘গণতন্ত্র বন্দি দিবস’ পালন উপলক্ষে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুখের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে নয়, দেশের গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। মানুষের অধিকার হরণের জন্য মূলত তখন তাকে আটক করা হয়। তাই ১৬ জুলাই শেখ হাসিনার বন্দি দিবস নয় গণতন্ত্রের বন্দি দিবস পালন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সে সময়ের সেনাসমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর তারা যদি সত্যিকারে ন্যায় প্রতিষ্টা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতো তাহলে প্রথমে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করার কথা ছিল। কিন্তু সেটি তারা করেননি।
বিএনপির সাথে আওয়ামীলীগের রাজনীতির আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে ব্রত। আওয়ামী লীগ জনগণের উন্নয়নের ও দেশের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপি’র রাজনীতি হচ্ছে হালুয়া-রুটি ভাগাভাগির রাজনীতি।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন ক্ষমতার হালুয়া রুটি বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। হালুয়া-রুটি খেয়ে তখন যারা বিএনপিতে যোগদান করেছিলেন তারা এখন বিএনপির বড় বড় নেতা। বিএনপির সাথে আমাদের পার্থক্য সেখানেই।
আওয়ামীলীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়। দলের মধ্যে অনেক সুযোগ সন্ধানী ও অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। ‘সুযোগসন্ধানীদের আমাদের দরকার নেই। সবার দল করার অধিকার থাকলেও পদ পাওয়ার অধিকার নেই। দলের পদ দিতে হবে বেছে বেছে।’
তিনি বলেন, দল এবং আমাদের আদর্শকে অনেকে সমর্থন করতে পারে তাই বলে তাদেরকে দলের পদ দিতে হবে তা কিন্তু নয়। যাদের কারণে দলের বদনাম হয় তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন দলের দুঃসময়ের জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, এখন দলের সুদিন, এই সুদিন নাও থাকতে পারে। দলের দুঃসময়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগী মনোভাব রাখতে হবে।