বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

177

বগুড়া, ১৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে আসা ঢলে বগুড়ার তিনটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতর আরো অবনতি হয়েছে। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১২টায় সারিয়াকান্দি উপজেলার মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদ সীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সাথে সারিয়াকান্দিতে বাঙালী নদীর পানিও বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই করছে। বাঙালী নদীর পানি বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নীচ নিয়ে বইছে। পউবো নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে বাঙালীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পরে।
প্রতিদিনই নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। তিন উপজেলায় বুধবার নতুন করে তিনটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০ হাজার ২৫ পরিবারের ৮২ হাজার ৩৮০ জন মানুষ সহায় সম্বলহীন হয়ে পড়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ। ফলে বাধ হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন, গ্রাম ও পরিবারের সংখ্যাবেশি সারিয়াকান্দি উপজেলায়। এ উপজেলার ১২টি ইউনিয়নেরমধ্যে ৯ ইউনিয়নের প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়েছে। সেনাতলা উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। ধুনট উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২ টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। তিনটি উপজেলায় হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চরাঞ্চলের অনেকে পরিবার বসতবাড়িতে ঘরের মাচা উঁচু করে বিনিদ্র রজনী পার করছে। প্রায় ২ হাজার পরিবার বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, ত্রাণ হিসেবে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৫১ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্র্তী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, সাড়ে ৩০ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ধুনট উপজেলায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খবার ৩২২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
যমুনা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের বিপরীতে পূর্বদিকে জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ধুনট উপজেলায় বন্যার পানিতে ৮৯৭৮ হেক্টর কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে। কৃষি জামতে এখন আছে পাট, আউস ধান, সবজি, আমন বীজতলা, আখ বিনষ্ট হয়েছে।
সোনাতলা ও সারিয়াকন্দি উপজেলার ৬৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যা
লয় জলমগ্ন হয়ে পড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বন্যা কবলিত ছিল ৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে ।
জেলায় বন্যা কবলিত অঞ্চলে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। জনবস্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায় বন্যা কবলিত অঞ্চলে সুপেয় পনির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৬৮৫০টি পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ল্যাট্রিন মেরমত করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তা আজাহার আলী মন্ডল জানান, ত্রাণ হিসেবে সারিয়াকান্দি উপজেলায় ২৫১ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। যমুনা তীরবর্তী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার, সাড়ে ৩০ দশমিক ৫০০ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ধুনট উপজেলায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খবার ৩২২ মেট্রিকটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।