বাসস ক্রীড়া-১১ : অস্ট্রেলিয়ার বাঁধা হতে পারেন এরিকসেন

325

বাসস ক্রীড়া-১১
ফুটবল-বিশ্বকাপ-ডেনমার্ক-অস্ট্রেলিয়া-প্রিভিউ
অস্ট্রেলিয়ার বাঁধা হতে পারেন এরিকসেন
কাজান (রাশিয়া), ২০ জুন, ২০১৮ (বাসস/এএফপি) : অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মিলে জেডিনাক মনে করেন ডেনমার্কের বিপক্ষে তাদের আসন্ন ম্যাচে বড় বাঁধা হতে পারেন ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন। আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টায় সামারা এ্যারিনায় অনুষ্ঠিত হবে সি গ্রুপের ম্যাচটি।
গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়েছে সকারুসরা। এখন গ্রুপ পর্ব থেকে নকআউটে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বৃহস্পতিবার জয়ের বিকল্প নেই তাদের সামনে। তবে ওই পথে তাদের জন্য বড় হুমকি টোটেনহ্যাম হটস্পার্সের মিডফিল্ডার এরিকসেন। বিশ্বকাপ বছাইপর্বে ডেনমার্কের হয়ে ১১টি গোল করেছেন তিনি। যার ফলে এইজ হারেইদির দলের প্রধান অস্ত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এরিকসেন।
তবে ফ্রান্সের বিপক্ষে পেনান্টি থেকে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল করা জেডিনাক মনে করেন ভিএআরের উন্নতি অস্ট্রেলিয়ার জন্য একটি বড় সুবিধা। তিনি বলেন,‘ আমরা জানি তিনি (এরিকসেন) একজন বড় মাপের খেলোয়াড়। দলের জন্য তিনি বিশাল ভুমিকা রেখেছেন। তবে আমরা সেটি নিয়ে বেশী ভাবছিনা। আমরা গোটা দল নিয়েই ভাবছি। একই সঙ্গে আমরা কতটুকু ভাল করতে পারব সেটি নিয়েই বেশী চিন্তা করছি। কিভাবে আমরা নিজেদের দক্ষতা তাদের উপর বাস্তবায়ন করব সেটি নিয়েই ভাবছি।’
ফ্রান্সের বিপক্ষে একটি নিখাঁদ রক্ষনাত্মক ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু বার্ট ফন মারউইক এর দলটি এখন খাদের কিনারায়। কারণ পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মনস্তাত্বিকভাবে এগিয়ে রয়েছে ডেনিসরা। অপরদিকে ফ্রান্সের বিপক্ষে আক্রমণের কোন দক্ষতাই দেখাতে পারেনি সকারুসরা। শুরুতে একটি মাত্র ভাল সুযোগ পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। যেটি ঠেকিয়ে দেয় গোল রক্ষক হুগো লরিস।
অসি পরিকল্পনার আরেক বাঁধা হয়ে আসতে পারেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কিংবদন্তী গোল রক্ষক পিটারের পুত্র ক্যাসপার শেমিচেল। যিনি প্রথম ম্যাচে গোল রক্ষক হিসেবে নিজের দক্ষতার প্রমান দিয়েছেন। এরই মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে গোল না খাওয়ার পিতার রিকের্ডটি ভেঙ্গে দিয়েছেন ক্যাসপার। পিতা পিটারের ৪৭০ মিনিটের বিপরীতে তিনি সেটি টেনে নিয়ে গেছেন ৫৩৪ মিনিটে।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজ দলের জয়য়ের ধারা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ডেনিশ এই গোল রক্ষক।
অস্ট্রেলিয়া:
গোলরক্ষক : ব্র্যাড জোনস(১২), ম্যাথু রায়ান(১), ড্যানি ভুকোভিচ(১৮)।
রক্ষণ ভাগ : আজিজ বেহিচ(১৬), মিলোস ডেগেনেক(২), ম্যাথু জারমান(৬), জেমস মেরেডিথ(৩), জোস রিসডন(১৯), ট্রেন্ট সেইন্সবারি(২০)।
মধ্য মাঠ: জ্যাকসন ইরভিন(২২), এ্যান্ড্রু নাবোট(১১) মিলে জেডিনাক(১৫), ম্যাথু লেচকি(৭), মাসিমো লুনগো(৮), মার্ক মিলিগান(৫), ড্যানিয়েল আরজানি(১৭),এ্যারন মুই(১৩), টম রোজিক(২৩)।
আক্রমন ভাগ : দিমিত্রি পেট্রাটস(২১), রবি ক্রুস(১০), টিম চাহিল(৪), টনি জুরিক(৯), জেমি ম্যাকলারেন(১৪)।
কোচ: বার্ট ফন মারউইক
ডেনমার্ক:
গোলরক্ষক: ক্যাসপার শেমিচেল(১), জোনাস লসল(১৬), ফ্রেডেরিক রোনোউ(২২)।
রক্ষন ভাগ: সিমন কাজায়ের(৪), আন্দ্রেয়াস ক্রিসটেনসেন(৬), ম্যাথিয়াস জর্গেনসেন(১৩), জানিক ভেস্তারগার্ড(৩), হেনরিক ডালসাগার্ড(১৪), জেনস স্ট্রিগার লারসেন(১৭), জোনাস কেনুডসেন(৫)।
মধ্য মাঠ: উইলয়াম কেভিস্ট(৭), ভিক্টর ফিশচার(১৫), টমাস ডেলানি(৮), লুকাস লেরাগার(১৮), লাসে শোন(১৯), ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন(১০), মাইকেল ক্রন-ডেলি(২)।
আক্রমন ভাগ: মার্টিন ব্রেইথওয়েট(১১), আন্দ্রেয়াস কর্নেলিয়াস(২১), ইউসুফ পুলসেন(২০), নিকোলাই জর্গেনসেন(৯), ক্যাসপার ডলবাগ(১২র্), পিয়োনে সিস্টো(২৩)।,
কোচ: এইজ হারেইদি
বাসস/এএফপি/এমএইচসি/২০১০/স্বব