বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি) : উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

182

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৪ (প্রথম কিস্তি)
শেখ হাসিনা-আবাসন মাস্টার প্লান
উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৫ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুতের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে জলাধার, ফসলী জমি ও পরিবেশ রক্ষার উপর জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোড এলাকায় সাতটি আবাসন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি মাস্টার প্ল্যান প্রস্তুত করার পর আমাদের জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে সুপরিকল্পিতভাবে উন্নতি ঘটাতে হবে।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ সাতটি প্রকল্পের মধ্যে গণপূর্ত বিভাগ চারটি এবং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) তিনটি প্রকল্প সম্পন্ন করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষকে একটি মানসম্মত জীবনযাত্রা উপহার দেয়ার জন্য আমরা স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট, আবাসন, কলকারখানা যা-ই নির্মাণ করি না কেন, তা সুপরিকল্পিত উপায়ে সম্পন্ন করতে চাই। আমরা এলোমেলোভাবে কোন নির্মাণ কাজের অনুমতি দিতে চাই না।’
দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার জন্য স্থপতি ও পরিকল্পনাবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে কোন পরিকল্পনা করার সময় আপনাদের জলাশয়গুলোর কথা মাথায় রাখতে হবে। কারণ, এগুলো পানির আধার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এগুলো পানি ধরে রাখে, যা জলাবদ্ধতা হ্রাসে সহায়তা করে।’
প্রয়োজনে সড়কগুলো যেন বাড়ানো যায় তা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করার জন্য শেখ হাসিনা স্থপতিদের প্রতি আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা ভবন নির্মাণে পুকুর, খাল ও জলাশয়গুলো ভরাট করার মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের মনমানসিকতার জন্যই এখন আর ঢাকা শহরের খাল ও পুকুর দেখা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই জলাশয়গুলো রক্ষায় পরিকল্পনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছি।’
বিগত ১০ বছরে সরকারের ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বাংলাদেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি উন্নয়নশীল ও ২০৪১ সাল নাগাদ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে তাঁর সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার পূর্নব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছি এবং এখন আমরা ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগেই এই দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘তবে, আমরা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় নগরীগুলোকেই উন্নত করতে চাই না, বরং গ্রামগুলোতেও সব ধরনের নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই।’
পরে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন রোডের গ্রেড-ওয়ান সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নির্মিত তিনটি ভবনের মধ্যে আবাসন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ্ খন্দকার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে সাতটি প্রকল্পের একটি প্রামাণ্য ভিডিও চিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
চলবে-বাসস/এএইচজে/অনু-কেএআর/১৭৩০/-আসচৌ