উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোচ চায় বিসিবি

251

ঢাকা, ১৪ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : স্টিভ রোডসের উত্তরসূরি খোঁজার লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোন কোচকেই নিয়োগ দিতে চায় বোর্ড।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের মতে, এর অর্থ এই নয় যে, কোচকে উপমহাদেশের হতে হবে । সামনে বাংলাদেশ দলের বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট ও সিরিজ রয়েছে। তাই যতটা সম্ভব দ্রুতই কাজটি সম্পন্ন করতে চায় বোর্ড।
পাপন লন্ডনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টা এমন নয় যে, এই উপমহাদেশের কোন কোচ হতে হবে। আমরা এমন কাউকে খুঁজছি, যার উপমহাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিংবা উপ-মহাদেশের দল সম্পর্কে ভাল ধারণা রয়েছে।’ তবে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া লংকান সাবেক কোচ চন্দ্রিকা হাতুরুসিংহের জন্য কোন সুযোগ নেই বলেও জানান বিসিবি প্রধান।
লংকান ওই কোচ আকস্মিকভাবে দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাবার পর নতুন কোচ খুঁজে বের করতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পরিবর্তিত হিসেবে স্টিভ রোডসকে অন্তুর্ভুক্ত করতে এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে বিসিবি’কে। তবে এবার সে রকম কোন সমস্যায় পড়তে হবে না বলেই মনে করেনে বিসিবি সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘গতবার সময় লাগার কারণ হচ্ছে যাদেরকে আমরা দলে ভেড়ানোর কথা মনে মনে ভেবেছিলাম তারা সবাই অন্য কোনখানে ব্যস্ত ছিল। তবে এটাই হচ্ছে নতুন কোচ নিয়োগ দেয়ার সঠিক সময়। কারণ বিশ্বকাপ আজ শেষ হতে যাচ্ছে। অধিকাংশ কোচেরই আগের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। সুতরাং আমরা যদি এখন কোন কোচকে প্রস্তাব দিই তাহলে তাকে পাওয়ার ভাল সুযোগ থাকছে।
আমাদের তালিকায় বেশ কয়েকজন ভাল কোচের নাম রয়েছে। বিশ্বকাপ শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আমাদের হাতে অনেক বিকল্প রয়েছে। কারণ তাদের বেশিরভাগই এখন কোথাও দায়িত্বে নেই।’
অতীত অভিজ্ঞতার কারণে বিসিবি এখন কোচ নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ সতর্ক থাকবে। পাপন বলেন, অন্য কোচিং স্টাফ নিয়োগের কার্যক্রমও থেকে শুরু হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এই ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে স্পিন ও পেস বোলিং কোচের বাছাই প্রক্রিয়া। তবে এখনো প্রধান কোচ বছাইয়ের কাজ সঠিকভাবে সম্পাদিত হয়নি। প্রধান কোচ বাছাইয়ের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। রোডসকে নিয়োগ দেয়ার আগে আমরা কিছু ব্যক্তিকে নিতে চেয়েছিলাম, যারা শেষ পর্যন্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগমুহূর্তে দায়িত্ব গ্রহণে অস্বীকৃতি জানায়।’