চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী

312

চট্টগ্রাম, ১৩ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : ভারী বৃষ্টির কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছেন সেনা সদস্যরা।
শনিবার ভোর থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রামে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সেনাবাহিনীর ৪০জন সদস্য ৪টি টিমে ভাগ হয়ে কাজ শুরু করেছেন।
এরমধ্যে নগরীর প্রবর্তক মোড়-কাপাসগোলাতে ১টি, জিইসি-দু’নম্বর গেট এলাকায় ১টি এবং মুরাদপুর ও বহদ্দারহাটে ১টি করে টিম কাজ করছে।
এরআগে মেগা প্রকল্পের কাজের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনী নগরের বেশ কয়েকটি খাল ও ড্রেন পরিষ্কার করে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষও (চউক) অবৈধ খাল সংস্কারে উচ্ছেদ অভিযান চালায়।
চউকের প্রকৌশলী ও প্রকল্পের পরিচালক আহমেদ মাঈনুদ্দীন বলেন, বৃষ্টি বেশি হওয়ায় শহরের অনেক এলাকায় পানি উঠে গেছে। এসব এলাকাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিহ্নিত করে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল শাহ আলী বলেন, বৃষ্টি শুরুর পর থেকে ৪০ জন সদস্য চারটি টিমে ভাগ হয়ে কাজ করছে। তারা দ্রুত পানি সরানোর পাশাপাশি পরবর্তীতে কীভাবে কাজ করতে হবে এসব বিষয় দেখছে। ইতোমধ্যে এসব পয়েন্টে জলাবদ্ধতার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। পানি নেমে গেলে সে অনুযায়ী কাজ শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সিডিএ’র সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এরপর সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর খালের উভয় পাশে রিটেইনিং ওয়াল, রাস্তা নির্মাণ ও নিচু ব্রিজগুলো ভেঙে উঁচু করার কাজ শুরু করে। পাশাপাশি খাল থেকে ময়লা পরিষ্কার কার্যক্রমও শুরু হয়।
ডিপিপি অনুযায়ী গৃহীত এ মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে ২০১৮ সালে ৩৬ খালের মাটি অপসারণসহ ৩০০ কিলোমিটার নতুন ড্রেন নির্মাণ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ১০০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ২০২০ সালের মধ্যে নগরে ৩৬টি খাল খনন, খালের পাশে ১৭৬ কিলোমিটার প্রতিরোধক দেয়াল, ৮৫ কিলোমিটার সড়ক ও ৪২টি সিল্ট ট্র্যাপসহ বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করার কথা রয়েছে।