২০১৫-২০১৯ ইংল্যান্ডের নাটকীয় উন্নতি : মরগান

467

বার্মিংহাম, ১২ জুলাই ২০১৯ (বাসস) : গতরাতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। তাই পুরো ইংল্যান্ড এখন আনন্দে রঙ্গীন হয়ে উঠেছে। দলের এমন পারফরমেন্সে উচ্ছসিত ইংল্যান্ডের অধিনায়ক মরগান। এরই মধ্যে ২০১৫ সালের দুঃস্মৃতিকে মনে করলেন তিনি। ২০১৫ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় ইংলিশরা। আর চার বছর পরের বিশ্বকাপের ফাইনালে ইংল্যান্ড। তাই গেল চার বছরে ইংল্যান্ডের যে উন্নতি হয়েছে সেই কথাই মনে করিয়ে দিলেন দেশটির অধিনায়ক মরগান।
২০১৫ সালে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছিলো ইংল্যান্ড। ঐ হারের ক্ষতকে জয় করে আজ দেশের মাটিতে বিশ্বকাপের মঞ্চের ফাইনালে ইংলিশরা। প্রথমবারের মত ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জয় থেকে এক ধাপ দূরে দাড়িয়ে ইংল্যান্ড। তারপরও আগের বিশ্বকাপের স্মৃতিকে তুলে ধরলেন মরগান। ম্যাচ শেষে মুখে চওড়া হাসি নিয়ে মরগান বলেন, ‘২০১৫ সালের বিশ্বকাপে আমরা কোথায় ছিলাম, আর এখন কোথায়। এটা নাটকীয় উন্নতি। ড্রেসিংরুমের সবাই এই আনন্দের ভাগিদার। আমরা ফাইনালে ওঠার সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’
এবারের আসরে ইংল্যান্ড ফাইনাল খেলবে, এমন কথা বললে বিশ্বাস করতেন না মরগান। সেমিফাইনালের ম্যাচ জয়ের পর ইংলিশ অধিনায়ক বলেন, ‘এটা স্পষ্ট, গত চার বছরে আমরা কতদূর এসেছি। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ার পর যদি কেউ আমাকে বলতো চার বছর পর ফাইনালে উঠার কথা, তবে আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতাম না। কারন ঐ আসরে যেভাবে আমরা বাদ পড়েছি, তা ছিলো দুঃখজনক। তবে আমরা গেল চার বছর অনেক পরিশ্রম করেছি। সেই পরিশ্রমের ফল আজ দেখা যাচ্ছে।’
ফাইনালে ওঠার আনন্দ উচ্ছসিত হলেও, শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ট্রফি জয়ের সুযোগ ভালোভাবে কাজে লাগাতে চান মরগান, ‘আমি সত্যিই উচ্ছসিত। লর্ডসের ফাইনালটা আমাদের জন্য বড় একটি সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে এবং সেরা সাফল্য দিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করতে হবে।’
ফাইনালে উঠার আনন্দের মাঝেও দুই ওপেনার জেসন রয়-জনি বেয়ারস্টো, দুই পেসার ক্রিস ওকস-জোফরা আর্চারের প্রশংসাও ঝরলো মরগানের কণ্ঠে, ‘শুরুর ১০ ওভারের জন্য বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার ওকস। সে আর আর্চার দুর্দান্ত বোলিং করেছে। তারাই শুরুতেই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে ফেেেল দেয়। পরে রয়-বেয়ারস্টো টপ অর্ডারে নিজেদের সেরাটা প্রদর্শন করেছে। তাই রান তাড়া করাটা অনেক সহজ কাজ হয়ে যায় আমাদের। তারা জীবনের যে ফর্মে আছে, সেটাই জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছে।’
বিশ্বকাপের প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ইংল্যান্ডে। দ্বিতীয় আসরের ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জয় করতে পারেনি তারা। ১৯৯২ সালে সর্বশেষ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে ইংলিশরা। এরপর আর কোন আসরের ফাইনালে উঠতে পারেনি তারা। তাই ২৭ বছর পর আবারো বিশ্বকাপের সেরা মঞ্চে ইংল্যান্ড।