৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল

390

ঢাকা, ১৯ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : আগামী ৩১ মার্চ গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আজ আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশন বৈঠক শেষে ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
সচিব বলেন, ‘আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে জুনের মধ্যেই পাঁচ নগরে ভোট করতে চায় নির্বাচন কমিশন। চলতি বছরেই এসব সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে। যেহেতু গাজীপুর ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা আগে হয়েছে তাই এ দুটি সিটির তফসিল আগে হবে।’
এই পাঁচ সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, সিলেটের ৮ অক্টোবর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।
স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে।
২০১৩ সালের ১৫ জুন একসঙ্গে রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট সিটি কর্পোরেশন এবং ৭ জুলাই গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়েছিল। তবে ভোটের পর একেকটি সিটি কর্পোরেশন একেকদিন প্রথম বৈঠকে বসেছে আর ওই বৈঠক থেকেই কর্পোরেশনের মেয়াদ শুরু হয়।
সম্প্রতি এই পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে ভোট করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, ভোটে সরকারের আপত্তি নেই। তবে ভোট নিয়ে কোনো জটিলতা আছে কি না, আইনি সমস্যা আছে কি না, সে বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন তারা। এই প্রতিবেদন পেলেই নির্বাচন কমিশনকে জবাব দেয়া হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমেদ বলেন, নতুন করে ৭৫টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন নেয়ার জন্য আবেদন করেছে। এরমধ্যে ১৯টির কাগজপত্রে ভুল ও তথ্যে গরমিল থাকায় তাদের নিবন্ধন না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বাকিদের অনেকের কাজপত্রেও ভুল রয়েছে। তাদের ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সঠিক কাগজপত্র জমা না দিলে তাদেরও নিবন্ধন দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি দল রয়েছে তাদের কাছে কাগজপত্র চাওয়া হয়। এরমধ্যে ৩৮টি দল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে। তবে গণফোরাম ও নাগরিক আন্দোলন তাদের কাগজপত্র জমা দেয়নি। গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন কাগজপত্র জমা দেয়ার জন্য ৬ মাস সময় চেয়েছেন। তাকে ৩ মাস সময় দেয়া হয়েছে। তবে নাগরিক আন্দোলন কোনো সময় না চাওয়ায়, তারা কেন কাগজপত্র জমা দেবে না তা জানতে চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তারা নোটিশের জবাব না দিলে দলটির নিবন্ধনও বাতিল করা হবে।
আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে কি-না সে বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশন সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তবে স্থানীয় নির্বাচনে কোনো কোনো জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হতে পারে।