বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রীর আহবান

369

ঢাকা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশে^র অনেক বিনিয়োগকারী ইতোমধ্যে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে এসেছে। মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশ সরকার উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে একমত হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র উদ্যোগে এবং কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, মালয়েশিয়া সাউথ সাউথ এ্যাসোসিয়েশন ও মালয়েশিয়ার এক্সটার্নাল ট্রেড ডেভেলপমেন্ট কোর্পোরেশন এর সহযোগিতায় ৪র্থ বারের মত মালয়েশিয়ায় আয়োজিত “শোকেস বাংলাদেশ ২০১৯-গো গ্লোবাল” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক মন্ত্রী ইনাম আহমেদ, মালয়েশিয়ার আন্তর্জতিক বাণিজ্য ও শিল্প উপমন্ত্রী ড. ওয়াং কিয়াং মিং, বাংলাদেশের বায়রার সভাপতি বেনজির আহমেদ এমপি, মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, উভয় দেশের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা বক্তৃতা করেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ উপযুক্ত স্থান। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বাংলাদেশ সরকার ওয়ান স্টপ সার্ভিন চালু করেছে। এখন দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দ্রুত গতি এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশে দৃশ্যমান উন্নতি সাধিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় দেশে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। এর অনেকগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ১ হাজার ৫৯৫ দশমিক ৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের বাণিজ্য হয়েছে।
বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেনের আমন্ত্রণে বাণিজ্যমন্ত্রী এ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা ত্যাগ করেন।
এছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ১২ জুলাই কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস এর সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীগণের সাথে মতবিনিময় সভা করবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আগামী ১৩ জুলাই দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।