ভোলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব

506

ভোলা, ১১ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : জেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব। স্থানীয় ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করায় শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমের আওতায় বৃত্তিমূলক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী তথ্যনির্ভর আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ পাঠদান পদ্ধতিতে তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি খাতকে সমৃদ্ধ করছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে সদরে ১১টি, দৌলতখানে ৫টি, বোরহানউদ্দিনে ৪টি, লালমোহনে ৪টি, তজুমদ্দিনে ৫টি, চরফ্যাশনে ৯টি ও মনপুরার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থান করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থপন করা হবে ।
সদর উপজেলার বাংলাবাজার ফতেমা খানম ডিগ্রী কলেজের আইসিটি বিভাগের প্রধান অমিতাব রায় বাসস’কে বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের ব্যবহারিক কাজগুলো খুব সহজেই শিখতে পারছে। একই সাথে কন্টেইন ভিত্তিক ক্লাস করার অত্যন্ত উপযোগী এ ল্যাব। শিক্ষার্থীরা পড়ার পাশাপাশি তাদের কাজ শিখে কাজ করতে পাড়ছে। এ সুবিধা বিগত দিনে আমাদের দেশে ছিলোনা।
তিনি বলেন, এ ল্যাবের ফলে শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখতে পাড়ছে এবং একসাথে ল্যাপটপ ও ডেক্সটপ ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে। পাশাপাশি ডিজিটাল মনিটরের সহায়তায় পেইনড্রাইভের মাধ্যমে যে কোন তথ্য সরাসরি ছাত্র-ছাত্রীরা অবলোকনের সুযোগ পাচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের আগ্রহ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সদরের রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন, শাকিল রায়হান, আবু সাইদ ও মুরাদ হোসেন বলেন, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের যে প্রযুক্তি সুবিধা তা আমাদের দেশে সম্পূর্ণ নতুন। বিগত দিনে পাশ্চাত্যে এসব সুবিধা ছিলো। এর আগে আমরা কম্পিউটারের প্রগ্রাম ভিত্তিক কাজগুলো বই থেকে মুখস্ত করতাম। ব্যবহারের সুযোগ ছিলোনা। এখন আমারা তা সরাসরি ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছি। তাই এ ল্যাব শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মাহামুদুর রহমান বাসস’কে জানান, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব বর্তমান সরকারের অত্যান্ত যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ। এটি একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ডিজিটাল ল্যাব। এর ফলে শিক্ষার্থীরা গ্রাম পর্যায় থেকেই শিক্ষার আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ এবং উন্নত দেশের শিক্ষা পদ্ধতির মতই শিক্ষা লাভ করতে পারছে।
তিনি আরো বলেন, জেলার মোট ৫৭৪টি বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে আমরা ৪১টি বিদ্যালয়ে এ ল্যাব স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। পর্যায়ক্রমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ ল্যাবের আওতায় আনা হবে। আমরা যদি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ল্যাব স্থাপন করতে পারি তাহলে এখানকার শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব সংগঠিত হবে বলে জানান তিনি।