বাসস সংসদ-০২ : রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ

136

বাসস সংসদ-০২
শোক-প্রস্তাব
রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ
সংসদ ভবন, ১০ জুলাই ২০১৯ (বাসস) : একাদশ জাতীয় সংসদের ৩৩৪ মহিলা আসন-৩৪ এর সংসদ সদস্য রুশেমা বেগমের মৃত্যুতে আজ জাতীয় সংসদে সর্বসসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী দিনের কার্যসূচির শুরুতে সম্পুরক কার্যসূচি হিসাবে শোক প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। শোক প্রস্তাবর ওপর সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় অংশ নেন।
এছাড়া শোক প্রস্তাবের ওপর অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোহাম্মদ নাসিম, শাজাহান খান ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা।
আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে শোক প্রস্তাবটি গৃহিত হয়। এর পর মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিবতা পালন ও তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন সরকারি দলের সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী। পরে সংসদের রেওয়াজ অনুযায়ি মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সংসদের বৈঠক আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।
মরহুমা রুশেমা বেগম গতকাল ৯ জুলাই ফরিদপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে— রাজেউন)।
ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রণকারী রুশেমা বেগম নারী শিক্ষা ও মুক্তির লক্ষ্যে আর্থসামাজিক উন্নয়নে আজীবন কাজ করে গেছেন। ১৯৫৯ সালের ২ আগস্ট তদানীন্তন ফরিদপুর গার্লস জুনিয়র মাদরাসায় প্রধান শিক্ষিকা পদে যোগ দেন। পরবর্তীকালে ঈশান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসাবে তার কর্মজীবন শেষ করেন। তিনি তার বর্ণাঢ্য জীবনে একজন প্রবীন শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রুশেমা বেগমের স্বামী ইমামউদ্দিন আহমেদ ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন সফলতার সাথে নেতৃত্ব দেন। তিনিও একজন ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৭০-১৯৭৩ এর সাবেক সংসদ সদস্য এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।
এরআগে আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেন, তিনি একজন মানবতাবাদী, শিক্ষানুরাগী অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। উনার সাথে আমার পরিচয় ছিল না, কিন্তু বাজেটের উপর তার সুন্দর সাবলীল ও প্রাঞ্জল ভাষায় করা বক্তৃতা শুনে তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা বেড়ে গেছে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, রুশেমা বেগম একজন নিবেদিত প্রাণ শিক্ষানুরাগী মানুষ ছিলেন। তিনি শুধু নিজে শিক্ষিত হননি, নারী সমাজের শিক্ষার লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন। আমাদের উচিত তাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করা।
বাসস/এমআর/১৮৪৪/-অমি