তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নেদারল্যান্ডের সহযোগিতার আশ্বাস

458

ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাংলাদেশে সফররত নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমার মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠক তথ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষ করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের সর্বশেষ উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ গত ১০বছরে তথ্য ও যোগাযোগ খাতসহ সামাজিক সূচকের সকল খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে। তৃণমূল পর্যন্ত প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিতে ৫ হাজারের অধিক ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ৯০ মিলিয়নের অধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীসহ বৈদ্যুতিক সংযোগ, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন প্রকার সেবার ব্যাপক প্রসার ও উন্নয়ন ঘটেছে। এছাড়াও নারীর ক্ষমতায়ন, ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন খাতে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়েছে। সরকার বর্তমানে এ সকল খাতে গুণগত মান উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এরই ধারাবাহিকতায় তরুণ উদ্যোক্তাদের পরিচর্যা, আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতার জন্য ‘আইডিয়া (ইনোভেশন ডিজাইন এন্টিপ্রিনিউয়ার একাডেমী) শীর্ষক প্রকল্প, মহিলাদের জন্য সি পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর হচ্ছে।
ই-কমার্স ও ই-সেবা প্রসারের লক্ষ্যে জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য ব্যবহার করে পরিচিতি যাচাই করণের সুবিধা আইসিটি বিভাগ হতে করা হচ্ছে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাইবার নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন করেছে। ইতোমধ্যে সরকার সমন্বিত ডিজিটাল পেমেন্ট প্লাটফর্মের কাজ হাতে নিয়েছে। যার মাধ্যমে গার্মেন্টস কর্মীদের ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের জন্য আর এম জি ওয়ালেট সেবা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে তরুণদের মাঝে ইমার্জিং প্রযুক্তি যেমন – কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, বিগ ডাটা, ব্লকচেইন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
নেদারল্যান্ডের রানী ম্যাক্সিমা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃতে বিগত ১০বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের উন্নয়নে ভূয়সী প্রসংশা করেন। সরকারের এ সকল উদ্যোগকে সফল করার জন্য তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে নতুন ব্যবসা আইনগত অনুমোদনের একক প্রতিষ্ঠান চালু করার সুপারিশ করেন।
তিনি এ উদ্যোগের জন্য নেদারল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
তিনি বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণের জন্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নেদারল্যান্ডের রানী সরকারের মাধ্যমে ইন্টারঅপারেবল পেমেন্ট প্লাটফর্ম-এর বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তা এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, নেদারল্যান্ডস ও আইসিটি বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।