বাসস রাষ্ট্রপতি-১ : জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি

131

বাসস রাষ্ট্রপতি-১
হামিদ-বাণী
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে : রাষ্ট্রপতি
ঢাকা, ১০ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে আরও সক্রিয় ও আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।
আগামীকাল (১১ জুলাই) বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর পূর্তিতে এর অর্জন মূল্যায়নের লক্ষ্যে এ বছর বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘জনসংখ্যা ও উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের ২৫ বছর : প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন’।
জনসংখ্যা উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। এ জনসংখ্যাকে কাম্য জনসংখ্যায় পরিণত করতে পরিকল্পিত পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, ‘পরিকল্পিত জনসংখ্যা, খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ অন্যান্য মৌলিক অধিকার পূরণের পাশাপাশি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের আয়তন, অবস্থান, জনসংখ্যা, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ ও আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে পরিকল্পিত পরিবার গঠনের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘সরকার বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিদ্যমান কর্মসূচিগুলোতে উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ডের সন্নিবেশ ঘটাতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে জনগণের ক্ষমতায়ন হবে এবং ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পৌঁছে যাবে।’
পরিবার পরিকল্পনা সেবাসহ অন্যান্য প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে জনমিতিক লভ্যাংশের ‘ডেমোগ্রাফিক ডেভিডেন্ট’ সুযোগ বিদ্যমান। আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে। সঠিক উন্নয়ন কৌশল, কর্ম-পরিকল্পনার মাধ্যমে এই বিশাল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করতে পারলে জনমিতিক এই সুযোগ আমাদের জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৯৯৪ সালে বিশ্বের নিম্ন অগ্রগতিসম্পন্ন দেশগুলোতে মোট প্রজনন হার ছিল ৬, এখন তা ৪। আধুনিক জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহারের হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৭ শতাংশ হয়েছে। সেই তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে মোট প্রজনন হার ২.০৫ এবং পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ৬২.৪। একটি দেশের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন অবিচ্ছেদ্যভাবে সম্পর্কিত।’
বাণীতে রাষ্ট্রপতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে জেনে আনন্দ প্রকাশ এবং বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৭৫৫/জেহক