সুমন শিকদার হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জনি গ্রেফতার

379

ঢাকা, ১৯, মার্চ ২০১৮ (বাসস) : সুমন শিকদার হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জহিরুল ইসলাম ওরফে জনি নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগের একটি দল।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি’র যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. আবদুল বাতেন সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি জানান,চাকরি ও লভ্যাংশ দেওয়ার কথা বলে ফয়সাল আহমেদ নামে এক যুবকের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা নেন ইসলামিক নিউজ পোর্টালটির এডিটর সুমন শিকদার।
পরে চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে তা না পেয়ে ফয়সাল পরিকল্পিতভাবে সুমনকে হত্যা করে।
মো. আবদুল বাতেন বলেন, রোববার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পূর্ব বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল ও জনিকে গ্রেফতার করে। পরে ঘটনার তদন্তে জানা যায়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা থেকে ভুয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করতো ইসলামিক নিউজ পোর্টালটির এডিটর সুমন শিকদার । নিজের পোর্টালে লভ্যাংশসহ ফয়সাল নামে এক যুবককে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সুমন তার কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু লভ্যাংশ তো দূরের কথা চাকরিও পাইনি ফয়সাল। পরবর্তীতে ফয়সাল তার পাওনা টাকা দাবি করলে তার সাথে বিভিন্ন ধরনের টালবাহানা শুরু করে সুমন। পরে টাকা না পেয়ে ফয়সাল সুমনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
তিনি বলেন, গত ৭ মার্চ সুমনের অফিসে যান ফয়সাল ও জনি। পরে কৌশলে সুমনকে চায়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন তারা। চা খেয়ে সুমন ঘুমিয়ে পড়লে ফয়সাল ও জনি মিলে তাকে শ্বাসরোধ করে এবং মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে হত্যা করে।
পরে সুমনের মরদেহ তারা দুইজন মিলে খাটের নিচে রেখে কম্পিউটার ও মোটরসাইকেল নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায় । হত্যাকান্ডের পরদিন গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তর যাত্রাবাড়ী ৩১নম্বর শহীদ ফারুক রোডের একটি বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কটটেপ পেঁচানো অবস্থায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ইসলামিক নিউজ পোর্টালটির এডিটর সুমন শিকদারের লাশ উদ্ধার করে। পরে এ খুনের ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।