১১ বছরে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে : মুন্নুজান সুফিয়ান

371

সংসদ ভবন, ৮ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : গত ১১ বছরে (২০০৫-০৬ থেকে ২০১৬-১৭ সাল) দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।
আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম হাবিবা রহমান খানের এক তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো’র তথ্যমতে ২০০৫-০৬ সালে দেশে কর্মে নিযুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৭৪ লাখ, যা ২০১৬-১৭ সালে বেড়ে হয়েছে ৬ কোটি ৮ লাখ। এ সময়ে দেশে প্রায় ২ কোটি লোকের নতুন কর্মসংস্থান হয়েছে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি পরিকল্পিত কর্মসূচি গ্রহণের উদ্দেশ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্মসংস্থান নীতি প্রণয়নের কাজ হাতে নিয়েছে।
মুন্নুজান সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য সুবিধার মাধ্যমে স্বাবলম্বি করার লক্ষ্যে দৃঢ় প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের বিপুল সংখ্যক তরুন প্রজন্মকে মানব সম্পদে পরিনত করার লক্ষ্যে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রার ভিত্তিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। টেকসই উপায়ে মাঝারি ও চরম দারিদ্র্য নিরসনের জন্য সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হলো কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রকৃত মজুরি প্রদান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ১৫ বছরের উর্ধ্বে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৫৮ দশমিক ২ শতাংশ। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশিরভাগ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত। যার পরিমান ৪০ দশমিক ৬ শতাংশ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত লেবার ফোর্স সার্ভে, ২০১৬-১৭ এর হিসাব অনুযায়ী বর্তমানে বেকারের হার মোট শ্রমশক্তির ৪ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার ৫ বছর মেয়াদে ১২.৯ মিলিয়ন অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এরমধ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য ২০ লাখ কর্মসংস্থানও অর্ন্তভূক্ত। এ সময়ে ৯৯ লাখ শ্রমিক কর্মশক্তিতে যোগদান করবে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশে ৮ লাখ ৮০ হাজার শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। শ্রমিকদের বৈদেশিক কর্মসংস্থানের অংশ ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হবে।