মরক্কোর বিপক্ষেও তারকা দ্যুতি ছড়াতে চান রোনালদো

439

মস্কো, ১৯ জুন ২০১৮ (বাসস/এএফপি): শক্তিশালী স্পেনের বিপক্ষে নিজের অধিনায়কোচিত নৈপুণ্য দলকে ১ পয়েন্ট এনে দেয়ার পর এবার মরক্কোর বিপক্ষে দলকে জয় এনে দিতে চান পর্তুগাল সুপার স্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো।
পাঁচবারের বিশ্বসেরা খেলোয়াড়ের খেতাবধারী এই ফুটবল তারকার হ্যাট্রিকের সুবাদে সোচিতে ‘বি’গ্রুপের প্রথম ম্যাচে হ্যাভিওয়েট স্পেনের সঙ্গে ৩-৩ গোলের রোমাঞ্চকর এক ড্র পেয়েছে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটি ছিল ৫১তম হ্যাট্রিক। রোনালদোর ক্যারিয়ারেও এটি ছিল ৫১তম হ্যাট্রিকের ঘটনা। শুধু তাই নয় বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে রিয়াল মাদ্রিদের এই ফুটবল তারকা চার আসরে গোল করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।
রোনালদো বলেন, ‘ব্যক্তিগভাবে এটি একটি দারুণ রেকর্ড। এজন্য আমি খুশি। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে বিশ্বকাপ ফেভারিটের তারিকায় থাকা একটি দলের বিপক্ষে দলীয় এই অর্জনটি।’
২০১৬ ইউরো টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের পরও এবারের বিশ্বকাপ আসরে ফেভারিট দলের তালিকায় জায়গা হয়নি পর্তুগালের। তবে আগামীকাল বুধবার মস্কোতে মরক্কোকে হারিয়ে শেষ ষোলতে জায়গা করার পথে একপা এগিয়ে রাখতে চায় তারা।
পর্তুগালের অনুশীলন ঘাঁটিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্ট্রাইকার আন্দ্রে সিলভা বলেন, ‘দুই দলের মধ্যে তুলনা করলে আমার মনে হয় পর্তুগালই মরক্কোর চেয়ে বেশি শক্তিশালী। তবে আমি এটি বলছিনা যে ম্যাচটি আমাদের জন্য সহজ হবে। আমরা তাদেরকে হাল্কাভাবে নিচ্ছি না। যে কোন প্রতিপক্ষকেই আমরা সমীহ করি। বিশ্বকাপের সব ম্যাচই কঠিন।’
১৯৮৬ সালে বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মরক্কো ৩-১ গোলে হারিয়েছিল পর্তুগালকে। এর পর কালকের ম্যাচটিই হবে দুই দেশের দ্বিতীয় লড়াই। দীর্ঘ ২০ বছর পর পুনরায় বিশ্বকাপে ফেরার পথে বছাই পর্বে একটি গোলও হজম করতে হয়নি মরক্কোকে। কিন্তু ইরানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচের ৯৫তম মিনিটে আজিজ বুহাদ্দজের আত্মঘাতী গোলে হেরে যাওয়ায় মরক্কোর নকআউট পর্বে খেলার সুযোগ অনেকটাই ফিকে হয়ে গেছে। যে কারণে পর্তুগাল ও স্পেনের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের বাকী দুটি ম্যাচ হার্ভে রেনার্ডের দলের জন্য হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচের মত।
তবে মিডফিল্ডার ফয়সাল ফজর মনে করেন এটলাস লায়ন্সদের সবকিছু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। তিনি বলেন, ‘আমি যদি বলি আমরা দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস করিনা, তাহলে সেটি হবে মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি আর্জেন্টিনার মত অনেক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করতে পারি। আর্জেন্টিনাও এমন পরিস্থিতি থেকে এগিয়ে গেছে। পুর্তাগালের খেলোয়াড়দেরও দু’টি করেই পা আছে। তারাও আমাদের মতো মানুষ। আমরা হয়তো একটি যুদ্ধে হেরে গেছি। তবে একেবারেই মরে যাইনি।’
পর্তুগাল :
গোলরক্ষক: এ্যান্তোনি লোপেজ(১২), বেটো (২২), রুই প্যাট্রিসিও (১)।
রক্ষণভাগ: ব্রুনো আলভেজ (২), সেড্রিক সোয়ারেস (২১), হোসে ফন্তে (৬), মারিও রুই (১৯), পেপে (৩), রাফায়েল গুয়েরেইরো (৫), রিকার্ডো পেরেইরা (১৫), রুবেন দিয়াস (১৩)।
মধ্যমাঠ: আড্রিয়েন সিলভা (২৩), গনসালো গুয়েডেস (১৭), ব্রুনো ফার্নান্দেস (১৬), হোয়াও মারিও(১০), হোয়াও মুতিনহো (৮), ম্যানুয়েল ফার্নান্দেস (৪), উইলিয়াম ক্যারাভালো (১৪), বার্নার্ডো সিলভা (১১), রিকার্ডো কুয়ারেসমা (২০)।
আক্রমন ভাগ: আন্দ্রে সিলভা (৯), ক্রিস্টিয়ান রোনালদো (৭), জেলসন মার্টিনস (১৮)।
কোচ: ফার্নান্দো স্যান্টোস।
মরক্কো:
গোলরক্ষক: মুনির এল কাজুই (১২), ইয়াসিনে বোনৌ (১), আহমেদ রেদা তাগনাউতি (২২)।
রক্ষণ ভাগ: মেদি বেনাতিয়া (৫), রোমেইন সাইস (৬), ম্যানুয়েল দা কস্তা(৪), বাদও বেনউন (১৯), নাবিল দিরার (১৭), আচরাফ হাকিমি (২), হামজা মেন্ডিল (৩)।
মধ্য মাঠ: হাকিম জিয়েচ (৭) এম’বারেক বোসৌফা (১৪), করিম এল আহমাদি (৮), ইউসেফ আইত বেনাসের (২১), সোফিয়ান আমরাবাত (১৬), ইয়ুএনস বেলহান্ডা (১০), ফয়সাল ফজর (১১), আমিন হারিত (১৮), নরডিন আমরাবাত (১৫), মেহদি চার্চেলা (২৩)।
আক্রমন ভাগ: খালিদ বুয়াতাইব (১৩), আজিজ বুহাদ্দজ (২০), আইউব এল কাবি (৯) ।
কোচ: হার্ভে রেনার্ড