সাহিত্যিক অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের জন্মদিন পালিত

481

ঢাকা , ৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের ৮১তম জন্মদিন পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল লেখক। তিনি কাজ করেছেন শিশু সাহিত্য, প্রবন্ধ, গবেষণা, সম্পাদনা, কবিতা, বাংলা ভাষা, জীবনীগ্রন্থ ও অনুবাদে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা শতাধিক। যেখানেই কাজ করেছেন আলো ছড়িয়েছেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক হায়াৎ মামুদ নিজের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, ভালাবাসা-বাসীর জন্য জীবন। আমরা ভালবাসা পেতে ও দিতে এসেছি পৃথিবীতে। ভালবাসার মাধ্যমেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাব। আর কিছু থাকবে না । শুধু ভালবাসা রয়ে যাবে।
অধ্যাপক হায়াৎ মামুদের ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে প্রকাশনা সংস্থা পুথিনিলয় গতকাল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাবাজারের পুথিনিলয় প্রধান কার্যালয়ের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুথিনিলয়ের সত্ত্বাধীকারী শ্যামল পালের স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, কবি ভূইয়া সফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক বুলবুল চৌধুরী, লেখক জাকির তালুকদার ও ড. মো, আমিন।
পুথিনিলয়ের পরিচালক শ্যামল পাল বলেন, হায়াৎ মামুদকে পেয়ে পুথিনিলয় ঋদ্ধ হয়েছে। হায়াৎ মামুদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও অভিজ্ঞতায় পুথিনিলয় প্রতিনিয়িত সমৃদ্ধ হচ্ছে।
হায়াৎ মামুদ ১৯৩৯ সালের ২ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তিনি আধুনিক কবি, ছড়াকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক ও শিশুসাহিত্যিক। শিশুদের জন্য অনেক গ্রন্থ রচনা ও অনুবাদ করেছেন। তাঁর অনূদিত ম্যাক্সিম গোর্কির গল্পগ্রন্থ চড়–ইছানা, গবেট গিম্পেল, পৃথিবীর ইতিহাস-প্রাচীন যুগ উল্লেখযোগ্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের শুরুতে কিছুদিন চাকুরি করেছিলেন বাংলা একাডেমিতে। অনুবাদক হিসেবে কাজ করেছেন রাশিয়ান প্রকাশনা সংস্থা প্রগতি’তে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেন। শিশুসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য পেয়েছেন ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’। শিশু একাডেমি তাঁকে ‘শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে। ২০১৬ সালে ‘একুশে পদক’ এবং ২০১৭ সালে রবীন্দ্রসাহিত্যে গবেষণার জন্য ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ লাভ করেন।