লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস বছরে ১৫ কোটি ১ লাখ টাকা রাজস্ব আয়

605

লক্ষ্মীপুর, ৭ জুলাই, ২০১৯ (বাসস) : লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম কমে যাওয়ায় সর্বোচ্চ সেবা পাচ্ছেন গ্রাহকরা। গত ১২ মাসে ৩৬ হাজার ৭শ’ ৬৩টি আবদনে প্রায় ১৫ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে এ অফিসে।
লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, প্রতিদিন এ কার্যালয়ে প্রায় ৮০-৯০ টি আবেদনপত্র জমা পড়ে। বর্তমানে গ্রাহকদের দালালের শরণাপন্ন হতে হয় না। সাধারণ আবেদনের ক্ষেত্রে একটি পাসপোর্ট ৩ হাজার ৪৫০ টাকায় ২১ কার্যদিবসের মধ্যে এবং জরুরী আবেদনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট ৬ হাজার ৯০০ টাকায় ১১ কার্যদিবসের মধ্যে পাওয়া যায়। ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত গত ১ বছরে এ কার্যালয়ে ৩৬ হাজার ৭শ’ ৬৩টি আবেদন জমা পড়ে। ইতোমধ্যে ৩৫ হাজার ৭ শত ৯টি পাসপোর্ট ইস্যু করে গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এতে রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা।
পাসপোর্ট করতে অনুমোদিত ব্যাংকের শাখায় নির্ধারিত ফি জমা দিতে হয় গ্রাহকদের। পাসপোর্টের ফি জমা নেওয়া হয় সোনালী ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার যেকোনো শাখায়। ব্যাংক থেকে টাকা জমার রশিদ সংগ্রহ করে গ্রাহক নিজ হাতে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিলে আবেদন ফরম দেওয়া হয়। পাসপোর্টের জন্য জমা দেওয়া সকল টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয় বলে জানা গেছে।
লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান বাসসকে জানান, তিনি এ কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দালালের দৌরাত্ম কমেছে। যার ফলে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসপোর্টের আবেদন বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট হাতে পাওয়ায় গ্রাহকরা সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৭ জুন তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।