‘তথ্য অধিকার আইন’ জনগণের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে : প্রধান তথ্য কমিশনার

205

সিলেট, ১৯ জুন, ২০১৮ (বাসস) : প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমেদ বলেছেন, তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ জনগণের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
তথ্য অধিকার আইনকে একটি সামগ্রিক আইন হিসাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ আইন অন্য কোন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। জনস্বার্থে এ আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটে বাংলাদেশ বেতারের সভাকক্ষে ‘তথ্য অধিকার আইন-২০০৯’ বিষয়ে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), বিভাগীয় তথ্য অফিস ও স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, আগে তথ্য গোপনের একটা প্রবণতা ছিল। এখন আর সেটা নেই। তথ্য অধিকার আইনের ফলে সরকারি ও বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তাগণ তথ্য প্রদানে বাধ্য।
তিনি বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইন একমাত্র আইন যা প্রজাতন্ত্রের মালিক হিসেবে জনগণ সকল কর্তৃপক্ষের উপর প্রয়োগ করতে পারে। তাই তথ্য অধিকার আইন সম্বন্ধে জনগণকে এবং তথ্য প্রদানকারি কর্মকর্তাদের ভালভাবে জানতে হবে।’ তথ্য অধিকার আইনের প্রয়োগ যত বাড়বে স্বচ্ছতা তত নিশ্চিত হবে, দুর্নীতি রোধ হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
মরতুজা আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রতিটি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি জনগণের কল্যাণে কাজ করেন সেটা বিশ^ব্যাপি স্বীকৃত।’
বাংলাদেশ বেতার, সিলেট-এর আঞ্চলিক পরিচালক মো. ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সিলেট আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক জুলিয়া জেসমিন মিলি, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সিলেট প্রতিনিধি আজিজ আহমদ সেলিম, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সিলেট প্রতিনিধি মকসুদ আহমদ মকসুদ, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান তালুকদার, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর প্রমুখ।