বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে : প্রধানমন্ত্রী

526

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৩ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-বেইজিং-সংবর্ধনা
চীনের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে : প্রধানমন্ত্রী

তাঁর সরকারের সময়ে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ কেবল চমকপ্রদ জিডিপি প্রবৃদ্ধিই বজায় রাখেনি জনগণের মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি করেছে। যা কিনা বর্তমানে ১ হাজার ৯০৯ মার্কিন ডলার এবং শিগগিরই ২০০০ ডলারে উন্নীত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার দারিদ্র্যসীমা ২১ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। যা ১৯৮১ সালে ৫১ শতাংশ এবং ২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত ৪১ শতাংশ ছিল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এই দারিদ্র্যের হারকে অন্তত ১৬/১৭ ভাগে নামিয়ে আনা। বাংলাদেশ একদিন দারিদ্র্যমুক্ত হবে ইনশাল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অতি দারিদ্র্যের হারকে ইতোমধ্যে ১১ ভাগে নামিয়ে আনা হয়েছে এবং আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই হারকে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতি ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। আর সে সময়ে আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই যেখানে কোন ক্ষুধা ও দারিদ্র্য থাকবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে কিছু লোক আছে যারা কিছুতেই স্বস্তি বোধ করে না। আমরা যা কিছুই করি না কেন, এতে তারা ভাল কিছু দেখে না। চোখ থাকতেও তারা অন্ধ, তাদের কি রকম জ্ঞান, বুদ্ধি বা বিবেচনা আমি বুঝি না। তারা আসলে কি চায়?’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র বজায় না থাকা। কারণ দেশে গণতন্ত্র থাকলে তাদের নাকি মূল্যায়ন হয় না।’
‘দেশে সামরিক শাসন বজায় থাকলে বা জরুরি অবস্থা এলে এবং কেউ সংবিধান লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করলে তাদের মুল্যায়ন হয়’, যোগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ তাঁর চমকপ্রদ উন্নয়নের জন্য সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের এই সাফল্যকে ধরে রাখতে হবে। কেবল প্রশংসা শুনে বসে থাকলে চলবে না। আমাদেরকে আরো কাজ করে আরো শ্রম দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
বাসস/এসএইচ/অনুবাদ-এফএন/২৩০০/-এইচএন