শেষ মুহূর্তে কেনের গোলে স্বস্তির জয় ইংল্যান্ডের

221

মস্কো (রাশিয়া), ১৯ জুন ২০১৮ (বাসস) :শেষ মুহূর্তে হ্যারি কেনের দ্বিতীয় গোলে রাশিয়া বিশ্বকাপে দুর্বল তিউনিশিয়ার বিপক্ষে স্বস্তির জয় পেল ইংল্যান্ড। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র। এ অবস্থায় ইনজুরি সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। ইনজুরি সময়ের প্রথম মিনিটে হেডের সাহায্যে দুর্দান্ত এক গোল করে ইংলিশদের স্বস্তির জয় এনে দেন দলের অধিনায়ক কেন। ফলে ‘জি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ড ২-১ গোলে হারালো তিউনিশিয়াকে।
ফেভারিটের তকমা নিয়ে আর্জেন্টিনা-জার্মানি-ব্রাজিল তাদের নিজ নিজ প্রথম ম্যাচে হোচট খেয়েছে। তাই ফেভারিটের তকমা গায়ে নিয়ে ইংল্যান্ড কি করে, এটি দেখার ও জানার প্রবল আগ্রহ ছিলো ফুটবলপ্রেমিদের।
কিন্তু ভলগোগ্রাদে ম্যাচের শুরু থেকেই তিউনিশিয়াকে চেপে ধরে ইংল্যান্ড। প্রথম চার মিনিটে ভালো-ভালো তিনটি আক্রমণ করেও গোল বঞ্চিত হয় তারা। কারন তিউনিশিয়ার গোলবার দক্ষতার সাথে সামাল দেন গোলরক্ষক মুয়েজ হাসেন।
কিন্তু ১১ মিনিটে গোলের স্বাদ নেয়া থেকে ইংল্যান্ডকে থামিয়ে রাখতে পারেননি হাসেন। ইংল্যান্ডের অ্যাশলে ইয়াংয়ের কর্ণারে জন স্টোনসের গোলমুখে হেডের বল ফিরিয়ে দেন হাসেন। খুব কাছে ফিরতি বলটি গিয়ে পড়ে কেনের পায়। সেটিতে আলতো ছোয়া দিয়ে গোলমুখে প্রবেশ করান কেন। ফলে ১-০ গোলে ম্যাচে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।
১৫ মিনিটে বড় ক্ষতিই হয় তিউনিশয়ার। শুরুতেই ইংল্যান্ডের তিনটি গোল রুখে দেয়া হাসেন বাঁ-কাধে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। তার জায়গায় গোলরক্ষকের দায়িত্ব পান ফারুক বিন মুস্তাফাকে।
দ্রুত এক গোলে এগিয়ে গিয়েও নিজেদের আক্রমন থেকে সড়ে আসেনি ইংল্যান্ড। কিন্তু সেই আক্রমনগুলো গোলে পরিণত হচ্ছিলো না। তবে ৩৫ মিনিটে গোল পেয়ে যায় তিউনিশিয়া।
তিউনিশিয়ার ফখরেদ্দিন বিন ইউসেফকে কনুই দিয়ে বক্সের মধ্যে ওয়াকার আঘাত করলে পেনাল্টির ডাক দেন অন-ফিল্ড রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মিডফিল্ডার ফেরজানি সাসি। এতে ম্যাচে ১-১ সমতা ফেরে। এই স্কোর রেখেই ম্যাচের বিরতিতেও যায় ইংল্যান্ড ও তিউনিশিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে তিউনিশিয়াকে বল আক্রমন রচনার সুযোগই দেয়নি ইংল্যান্ড। তবে ঠিকই তারা তিউনিশিয়ার দূর্গে আক্রমন করেছে। কিন্তু কখনও ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের ভুলে বা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ও গোলরক্ষকের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে আক্রমনগুলো ভেস্তে যায়। তাই নিজেদের ঘর সামলাতে অতি মাত্রায় রক্ষণাত্মক হয়ে পড়ে তিউনিশিয়া। তাদের এই কৌশল ভালোই কাজে দেয়। ফলে নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মত গোল হজম করতে হয়নি তিউনিশিয়াকে। তাই ড্র’র স্বাদ নেয়ার স্বপ্ন দেখছিলো ফিফা র‌্যাংকিং-এ ২১তম স্থানে থাকা তিউনিশিয়া।
নির্ধারিত সময় শেষ হবার পর ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি সময়ে। ঐ সময়ের প্রথম মিনিটে ইংল্যান্ডের ত্রানকর্তার ভূমিকায় অবর্তীন হন প্রথম গোলের মালিক কেন। ৯১ মিনিটে হ্যারি ম্যাগুইয়ের কর্ণার উড়ে আসা বলে হেডে কেনের দিকে বল বাড়িয়ে দেন বেন ইউসুফ। হাওয়া ভাসা বলে মাথার কারুকাজে ছয় গজ দূর থেকে বুদ্ধিমত্তার সাথে বলকে গোলে প্রবেশ করান কেন। গোলবারে দাঁড়িয়ে থেকেও বলকে সরানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করেননি তিউনিশিয়ার বদলী গোলরক্ষক মুস্তফা। ফলে শেষ মুহূর্তের গোলে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে ইংল্যান্ড।
১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড ও তিউনিশিয়া। ঐ ম্যাচে ২-০ গোলে জিতেছিলো ইংলিশরা।
আগামী ২৪ জুন নিজনি নভগোরোদে পানামার মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড। একদিন আগে মস্কোকে বেলজিয়ামের বিপক্ষে খেলতে নামবে তিউনিশিয়া।