নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ

742

ঢাকা, ১৮ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : বাংলাদেশের এয়ারক্রাফট এক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন গ্রুপ (এএআইজি) প্রধান ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন এম রাহমাতুল্লাহ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়া ইউএস বাংলার বিমানের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আজ নেপালের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন।
তিনি সেখানে নেপালি তদন্ত কমিটি ও অন্য বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যৌথভাবে এই বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত করবেন।
বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করার আগে তিনি বাসসকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পেছনে প্রকৃত কারণ জানতে আমরা ব্ল্যাক বক্স ও সিভিআর (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার)-এর ওপর নির্ভর করছি।’
তিনি বলেন, নেপালি তদন্ত কমিটি ছাড়াও এ কাজে বিমানটির প্রস্তুতকারক কানাডার বম্বার্ডিয়ার, ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক ও একটি ব্রিটিশ কোম্পানির প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন।
তিনি বলেন, তদন্তকে নিরপেক্ষ রাখতে এতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কোনো প্রতিনিধি থাকছে না।
তিনি জানান, ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গ্যানাইজেশন (আইসিএও)’র এনেক্স ১৩ অনুযায়ী যে দেশের বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয় সে দেশের একজন অনুমোদিত প্রতিনিধি যে দেশে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয় সে দেশের তদন্ত দলের সঙ্গে যৌথ তদন্তে অংশ নিতে পারেন।
সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি)’র পরিচালক (ফ্লাইট সেফটি এন্ড রেগুলেশন) উইং কমান্ডার চৌধুরি এম জিয়াউল কবির বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আমরা আমাদের এএআইজি প্রধানকে আমাদের অনুমোদিত প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছি।’
জিয়াউর কবির জানান, আইসিএও’র বিধি অনুযায়ী অনুমোদিত প্রতিনিধি প্রয়োজনে কয়েকজন উপদেষ্টার সহায়তা নিতে পারবেন। তাই প্রয়োজন হলে অনুমোদিত প্রতিনিধিকে সহায়তা করার জন্য আরো পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তার উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দেবেন।