বাজিস-২ : শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়

372

বাজিস-২
কুড়িগ্রাম- শেখ হাসিনা সেতু
শেখ হাসিনা ধরলা সেতুতে বিনোদন পিপাসুদের ভিড়
কুড়িগ্রাম, ১৯ জুন, ২০১৮(বাসস) : ঈদের আনন্দ-উৎসব উপভোগ করতে উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেত’ুটির দু’পাড়ে ঢল নামে বিনোদন পিপাসুদের। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় বিনোদন কেন্দ্র না থাকায় ঈদের দিন থেকে প্রতিদিন শেখ হাসিনা সেতুর দুই পাড়ে আনন্দঘন পরিবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢলে মুখরিত হয়। বসে হরেক পণ্যের মেলা। অনেকেই আবার শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটি এক নজর দেখতে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন।
রোববার বিকেলে এ সেতুর দুই পাড়ে গিয়ে দেখা গেছে,কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জেলা থেকে হাজারো মানুষের সমাগম। সেতুর দুই পাড় দিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে কিশোর-কিশোরী, নারী-পুরুষ ও পরিবার পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ ভ্যান, রিকশা, অটো, মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, মাইক্রোবাস সেতুর মাঝ খানে দাঁড়িয়ে প্রেমিক প্রেমিকা,বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ছবি ও সেলফি তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকেই ধরলায় ডিঙি নৌকায় চড়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন। কেউ কেউ আবার ধরলার চরগুলোতেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন। সেতুর দুই পাড়ে ১০ থেকে ১৫টি ফুচকা,চানাচুর,আইক্রিমের দোকানের পাশাপাশি চুড়ি ফিতা ও বেলুনসহ বিভিন্ন রকমারীর দোকান বসেছে। সবগুলো দোকানেই তেক্রাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। ঈদে প্রিয়জনদের সাথে খানিকটা বিনোদন ও ভাল লাগার অনুভূতি পেতে হাজারো মানুষের ঢল নামে।
উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার উত্তরাঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম সড়ক সেতু ‘শেখ হাসিনা ধরলা সেত’ুটি অবস্থিত। সেতুটির দৈর্ঘ্য সাড়ে ৯শ’ মিটার। উপজেলা সদর থেকে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুর দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার । সেতু পাড়ের আব্দুল লতিফ, মালেক, মনসের আলীসহ এ সেতুর দুই পাড়ে পর্যটন কেন্দ্রের দাবি জানান। তারা আরও জানান, এ এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ছিল এ সেতুটি। ফুলবাড়ীবাসীর স্বপ্ন সত্যি হয়েছে। এ ঈদের সেতু পাড়ে হাজার মানুষের ঢলে মূখরিত । কিন্তু সব মানুষেই সেতুর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাওয়া ও ধরলায় ডিঙি নৌকা ভেসে বেড়ানোই হয়েছে। কোন দর্শনার্থী কোথাও শান্তিমত বসে গল্প ও আড্ডা দিতে পারেনি। তাই সেতু পাড়ে পর্যটন কেন্দ্র ও সেতুর দুই পাড়ে ধরলার তীররক্ষা বাঁধের দুই পাশে বেঞ্চ জাতীয় কিছু বসার ব্যবস্থা করা দরকার। এতে দর্শক সমাগম বাড়তো। বর্তমানে সেতুটির উপর দিয়ে চলাচল ছাড়াও এখানে প্রতিদিন বিকেলে শতশত দর্শনার্থী দূর-দূরান্ত থেকে এসে ভিড় জমায়। বিশেষ করে সন্ধ্যার গোধুলি বেলায় সূর্যের অস্ত যাওয়ার দৃশ্যটা মুগ্ধতার আবেশ ছড়িয়ে যায়।
লালমনিরহাট সদরের তেলিপাড়া থেকে আঁখি আক্তার,আইরিন আক্তার বিথি, ফাতেমা আক্তার রুমি জানান, ঈদের আনন্দ ঊপভোগ করতে পরিবারের সাথে শেখ হাসিনা সেতুটি দেখতে এসেছি। এখানে এসে আমাদের খুবই ভাল লাগছে। অনেক ভাল ভাল ছবি ও সেলফি তুলাম। বাবা-মায়ের সাথে ছবি ও সেলফি তুললাম। ধরলায় ডিঙ্গি নৌকায় ঘুরলাম। সব মিলিয়ে আমরা এবারের ঈদে খুবেই মজা করলাম।
ফুলবাড়ী সদর ইউনিয়নের চন্দ্রখানা এলাকা থেকে মাইদুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন জানান, প্রধানমন্ত্রী ঈদ উপহার হিসেবে এ সেতুটি আমাদের দিয়েছেন। তাই আমরা সেতুটি দেখতে এসেছি। গত ৩ জুন রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ধরলা সেতুটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সেতুটি।
বাসস/সংবাদদাতা/আহো/১০৫০/নূসী